কলকাতা: আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি থাকছে ঠিকই। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতাও আনা হল। সোমবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার থেকে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে তথ্য প্রযুক্তি দফতরগুলি। খোলা থাকবে রিটেল মার্কেটের দোকানগুলিও। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত এই খুচরো বাজার খোলা থাকবে। অনুরোধের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
* দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
* ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। আরও ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে। ১১৪ কোটি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনবে রাজ্য সরকার।
* ইয়াসের পর ২ লক্ষ লোক ত্রাণশিবিরে রয়েছেন। ২.২১ লক্ষ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
* দুয়ারে ত্রাণ: যে যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প হবে।
* দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক এর সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পেরেছি কিছু সমস্যা হচ্ছে। জল জমে থাকার ফলে ত্রাণের সমস্যা হচ্ছে। মানুষের খাবার জল, কোনও পরিষেবার অভাব যেন না হয়।
* দিঘায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। মৎস্যজীবীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্বর্ণ মৎস্য প্রকল্পে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জেলাশাসক, পুলিশসুপার, থানার আধিকারিক এবং ব্লকের আধিকারিকরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করুন। দিঘা সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
* দুই ২৪ পরগনায় ম্যানগ্রোভ বাড়াতে হবে।
* প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রকৃতি সহায় রয়েছে। দুয়ারে রেশন চালু হতে দু-তিন মাস সময় লাগবে। বেশি করে কোল্ড স্টোরেজ বানাতে হবে।
* যেহেতু খুব বন্যা হচ্ছে, তাই আরও ৫০০ ফ্লাড সেন্টার বানানোর জন্য নীতি আয়োগের কাছে টাকা চাইতে হবে। মুখ্যসচিবকে সে কারণে চিঠি লিখতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
* ইটভাটা যেহেতু জলে ডুবে আছে, তাই ইটভাটার শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজে লাগানো হোক। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হোক।
* আমফানের ফলে পড়ে যাওয়া গাছগুলো এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতিতে আছে তা দেখার নির্দেশ।
* আমরা কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকা চাইনি। বলেছি, আপনি যা মনে করবেন দেবেন।