কলকাতা: জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের পর থেকেই চরমে উঠেছিল সংঘাত। ভাটপাড়ায় ফের প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। ভিকি খুনে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম সরাসরি অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুনের বিরুদ্ধে। খুনের মাস্টার মাইন্ড বলেও তোপ দেগেছেন। পাল্টা সোমনাথ শ্যামকে ‘শ্যামাপোকার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন অর্জুন। ঝামেলা চলছিলই। সোমনাথ-অর্জুন প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে চরম অস্বস্তি জেলা তৃণমূলে। এরইমধ্য শনিবার মধ্যমগ্রামে সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত দুই নেতাই। সেখানেও প্রকাশ্যে দেখা গেল সাংসদ-বিধায়কের তপ্ত বাক্য বিনিময়।
প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে জেলায় কর্মী সম্মেলন করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জরুরি বৈঠকে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বে দলের অস্বস্তি আরও বাড়ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে দলের অন্য কোনও নেতাই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। খুললেও উত্তর দিচ্ছেন রাখঢাক রেখেই। শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলা সাংগঠনিক নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্জুন সিং। প্রশ্ন তুলছেন জেলা সভাপতি তাপস রায়ের ভূমিকা নিয়ে। সাফ বলেছেন, ন’দিন ধরে চলছে। সবাই সব জানে। জেলা সভাপতি জানেন না? তাহলে বুঝতে হবে এটা ওনার এক্তিয়ারের বাইরে। সোজা কথায় এখন শীর্ষ নেতৃত্ব এর দিকে তাকিয়ে অর্জুন। স্পষ্ট বলছেন, আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরিয়ে এনেছেন। এরা মমতাকেই চ্যালেঞ্জ করছে। তবে তাপস রায় আবার বলছেন, সভাপতি হিসেবে ব্যবস্থা নিয়েছি। মিছিল আটকেছি। ওরা বিবৃতি দেওয়ার আগে কি সভাপতির অনুমতি নেয়?
সূত্রের খবর, বৈঠকে সোমনাথ ঢোকার পরই বেরিয়ে যান অর্জুন। প্রসঙ্গ উঠতেই গেলেন এড়িয়ে। বললেন, অর্জুন ছিল কি না দেখিনি। তবে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। বলেন, কে সাদা কে কালো মানুষ বুঝছে। আমার সঙ্গে দলের ঝান্ডা রয়েছে। অন্যদিকে বিধায়ক নির্মল ঘোষ আবার বলছেন, অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব দলের বিষয় নয়। সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।