মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে যাঁরা আহত হয়েছেন, যাঁদের অঙ্গহানি হয়েছে, যাঁরা মানসিকভাবে আতঙ্কে ভুগছেন, তাঁদেরকেও আর্থিক সাহায্য করার কথা বলেছিলেন তিনি। বুধবার সেই পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন তিনি।
নেতাজি ইন্ডোরে সেই অনুষ্ঠানে কী কী বললেন মমতা, একনজরে:
- বাংলা থেকে মোট ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ৮৬ জনের দেহ পেয়েছি। ৮৬ জনের প্রত্যেকের পরিবারকেই চাকরি দেওয়া হল। দেওয়া হল ৫ লক্ষ টাকাও। আগামী তিন মাস ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে : মমতা।
- অথর্ব হয়ে গিয়েছেন, কাজ করতে পারছেন না, এমন তিনজনকেও আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হল। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৭২ জন, তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হল ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। অল্প আঘাত পেয়েছেন এমন ৬৩৫ জনকে আর্থিক সাহায্য় করল সরকার।
- ৭৯৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককে মানবিক কারণে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে: মমতা।
- আমার অফিসাররা খুব ভাল কাজ করেছেন। বাংলা থেকে আরও ৪০-৫০ জন নিখোঁজ আছেন: মমতা।
- ‘অনেককে চাকরি দিলাম। তবে যদি কেউ থাকেন, যিনি সন্তানকে পড়াশোনা করাতে চান, তাহলে সাহায্য করা হবে। ৫০ জন মেয়ে ও ৫০ জন ছেলের বিনামূল্যে পড়াশোনার দায়িত্ব নিচ্ছি’, বললেন মমতা। প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের।
- যে সব মহিলা আহত হয়েছেন, তাঁদের আইসিডিএস বা আশাকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন নারী ও শিশুকল্যানমন্ত্রী শশী পাঁজাকে।
- পুলিশের একটা সিস্টেম আছে, এলাকায় এলাকায় নিজস্ব কিছু লোক রাখা। কম বেতন, তবে বাড়ির সামনে কাজ পাওয়া যায়। যে কাজ করতে বাইরে যান, তাতে খাওয়া দাওয়ার খরচ পড়ত। তাঁরা এই কাজ করতে পারেন: মমতা।
- রেলে বিমা করা থাকে। দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে ১০ লক্ষ টাকা করে পায় পরিবার: মমতা।
- সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর দাবি রেল সত্য তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, রেল কম ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
- রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশি চলছে বুধবার সকাল থেকে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “রেলের তদন্ত না করে সকাল থেকে সিবিআই-কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৪ থেকে ১৬টা পুরসভায়। পুরসভায় ঢুকে গিয়েছে, নগরোন্নয়নেও ঢুকে গিয়েছে। এবার বাথরুমেও ঢুকবে? ওয়াশরুমেও ঢুকবে? জিজ্ঞেস করুন। ওটাই বাকি আছে।”