কলকাতা: আর ৬ দিন বাকি। তার মধ্যে না-পারলে CBI-এর হাতে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত হস্তান্তর করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার থেকে রবিবার- এই সাত দিন সময় কেন দেওয়া হল পুলিশকে? কেন এখনই নয়? এই সাত দিনের মধ্যে কী হতে পারে? এই সব প্রশ্নের পাশাপাশি, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বিরোধী তুলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কিনারা করতে পারা, না-পারার ‘প্যারামিটার’ কী হবে?
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারত প্রথম দিনই। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চাইলে প্রথমেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেন। কিন্তু প্রমাণ নষ্ট করার সবরকম চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘আমরা ফাঁসির দাবি জানাব।’ এই প্রসঙ্গ তুলে শমীকের দাবি, প্রমাণ লোপাটের বিষয়টি আরও জোরাল হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি নেতা বলেন, “ফাঁসি হলে তো সব প্রমাণ লোপাট হয়ে যাবে।”
গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এই সাত দিনের মধ্যেই কি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি চার্জশিট তৈরি করে কেস গুটিয়ে আনবে পুলিশ। নাকি আরও দুই-তিন জনের গ্রেফতার হতে পারে। নাকি সময় নিচ্ছে পুলিশ। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, তথ্য লোপাট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই, যেটুকু বাকি আছে, সেটুকুর জন্য সাতদিন সময় নেওয়া হয়েছে।’
সিবিআই প্রসঙ্গে শমিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আসলে এখন এমন কাউকে গ্রেফতার করতে হবে হাসপাতালের মধ্যে যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। তাই সেই দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে না রেখে সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর মতে, প্রভাবশালীর ছেলে বা ভাইপো হলে পুলিশের পক্ষে তদন্ত করা সম্ভব নয়।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আদালত যদি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়, সেই আশঙ্কা করেই মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকে বলে দিলেন সিবিআই তদন্তের কথা।” তিনি আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার সুযোগও আর নেই, সুতরাং তদন্তেও নতুন কিছু হওয়ার নেই। বাম নেতা মনে করেন, পুলিশের প্রতি আস্থা চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের, সেটা বুঝতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সিবিআই-এর কথা।