কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় পদক্ষেপ মমতার। ভেঙে দেওয়া হল বীরভূমের কোর কমিটি। যে জেলায় একসময় অনুব্রত মণ্ডলই ছিলেন সর্বেসর্বা, তাঁর অনুপস্থিতিতে আবারও রণকৌশল বদলালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেষ্ট মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর তাঁর গড়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছিল কোর কমিটি। কয়েক মাস যেতে না যেতেই আবার বদল। এবার কোর কমিটি থেকেই বাদ পড়ল কাজল শেখের নাম। ৯ জনের কোর কমিটি ভেঙে পাঁচজনের নতুন কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন দলনেত্রী। মঙ্গলবার বৈঠক ছিল বীরভূমের সংগঠন নিয়ে। সেখানেই বড় রদবদলের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। সূত্রের খবর, নতুন কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ, রানা, সুদীপ্ত ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত বীরভূমে। তাই কাজল শেখ গুরুদায়িত্ব পাওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কেষ্ট মণ্ডলের প্রভাব কি কমছে? ভোটের মুখে কার্যত উল্টে গেল সেই সমীকরণ। কাজল শেখকে শুধুমাত্র নানুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যাঁদের বৈঠকে জায়গা দেওয়া হয়েছে তাঁরা অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ফলে শারীরিকভাবে অনুব্রত উপস্থিত না থাকলেও তাঁর প্রভাব যে আবার প্রকট হচ্ছে, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলে যাওয়ার পরও তাঁর সেই পদ ছিল। পরে তিহাড় জেলে যাওয়ার পর দেখা যায়, জেলা সভাপতির পদ ফাঁকা রাখেন মমতা। বীরভূমের দায়িত্ব নেন নিজে। পাশাপাশি গড়ে দেন কোর কমিটি।