Mamata Banerjee: ‘আমার পিছনে স্টেনগান, পাইপগান নিয়ে তাড়া করেছিল ওরা’, কলেজের নির্বাচনে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মমতার মুখে
Mamata Banerjee on 28 August: কথার রেশ টেনে একেবারে গল্পের ছলে মমতা বলতে থাকেন, " আমি তখন গিয়ে কলার চেপে ধরি। আর অশোকা দুটো থাপ্পড় মারল। ছেলেদুটোকে বাঁচিয়ে আনলাম। ওরা আমাকে বন্দুক নিয়ে তাড়া করল, পাইপগান নিয়ে তাড়া করল, স্টেনগান নিয়ে তাড়া করল।"

কলকাতা: কলেজ নির্বাচন কবে? মনে করা হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে হয়তো কিছুটা হলেও ইঙ্গিত মিলবে। কিন্তু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে সে প্রসঙ্গে একটিও উচ্চবাক্য শোনা যায়নি। বরং নেত্রীর মুখে শোনা গেল নিজের ছাত্রজীবনে কলেজ নির্বাচনের প্রসঙ্গ। সেদিন তিনি কীভাবে দুই ছাত্র পরিষদের সদস্যকে রক্ষা করেছিলেন, কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা যথেষ্টই রোমহর্ষক।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে, তাঁর মুখে ওঠে আসে সুব্রত বক্সীর কথা। মমতা বলেন, “বক্সী দা আমাদের সিনিয়র। আমি তখন কলেজে। আশুতোষ কলেজে ইলেকশন হচ্ছে। আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। ২ ছেলেকে গাড়িতে এসে সিপিএমের গুন্ডারা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমি একটা সময়ে বক্তৃতা দেওয়ার ফাঁকে জল খেতে গিয়েছিলাম, তখন দেখি এই কাণ্ড।”
কথার রেশ টেনে একেবারে গল্পের ছলে মমতা বলতে থাকেন, ” আমি তখন গিয়ে কলার চেপে ধরি। আর অশোকা দুটো থাপ্পড় মারল। ছেলেদুটোকে বাঁচিয়ে আনলাম। ওরা আমাকে বন্দুক নিয়ে তাড়া করল, পাইপগান নিয়ে তাড়া করল, স্টেনগান নিয়ে তাড়া করল।”
সুব্রত বক্সীর পাড়ার একটি মিষ্টির দোকান আর তার পাশের একটি রেস্টুরেন্টের কথাও বলেন তিনি। কীভাবে সেদিন রক্ষা পেয়েছিলেন, সেকথা বলতে গিয়েই মমতা বলেন, ” বক্সী দা-দের পাড়ায় শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার বলে একটা দোকান রয়েছে। এখনও রয়েছে। তার পাশে রেস্টুরেন্টে ছিল। সেখানে বসে থাকা কয়েকজন দেখতে পেয়ে আমাকে রেস্টুরেন্টে ঢুকিয়ে দিল, ওরা আর খুঁজে পায়নি। নাহলে সেদিনই আমাকে মেরে দিত। হাজরার মোড়ে ডান্ডা মারে।” কতটা তিনি অত্যাচারিত হয়েছিলেন, সেটা বলতে গিয়ে হাজরার অশান্তির কথাও উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, “আমার মাথায় ৪৬ টা সেলাই রয়েছে। ব্রেন অপারেশন করতে হয়, ডান হাতের অর্ধেক হাড় নেই। যখন প্রথমবার মারে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল, দ্বিতীয়টা মারে, তখন বাঁদিক ডান দিক, রক্তে ভাসছে, তৃতীয়বার যখন মারে, তখন হাতটা মাথায় উঠে গিয়েছিল। ইশ্বর বাঁচিয়ে দিয়েছে।” নাম না করে বামেদের উদ্দেশে এভাবেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
