ক্ষতিপূরণ ও চাকরি ফিরিয়ে দিতে চায় জ্ঞানশ্বরী কাণ্ডে ‘মৃত’ অমৃতাভ, পরিচিতি নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 20, 2021 | 5:47 PM

অমৃতাভ মিহির চৌধুরীকে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিতে অস্বীকার করেছেন। যদিও মিহিরবাবুর দাবি, অমৃতাভ তাঁরই ছেলে। এই ধোঁয়াশা কাটাতেই ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর কথা ভাবছেন গোয়েন্দারা।

ক্ষতিপূরণ ও চাকরি ফিরিয়ে দিতে চায় জ্ঞানশ্বরী কাণ্ডে মৃত অমৃতাভ, পরিচিতি নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট ও ডিএনএ রিপোর্ট দিয়ে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি আদায়ে অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরীকে রবিবার ফের একবার নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। সঙ্গে তাঁর বাবা শিশির চৌধুরীকেও ডেকে পাঠানো হয়। রবিবার তাঁর বাড়ি থেকে নতুন করে কিছু নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে যান গোয়েন্দারা। এ দিন নিজাম প্যালেসে যাওয়ার সময় নিজের অপরাধ কার্যত কবুল করে নেন অমৃতাভ। বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা ফিরিয়ে দেব। চাকরিও ফিরিয়ে দেব।”

অমৃতাভই যে নথিপত্রের মাধ্যমে নিজেকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিল সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। যদিও রেলের কোনও আধিকারিক এই জালিয়াতি চক্রে জড়িয়ে রয়েছে কি না সেটাই বর্তমানে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অমৃতাভর বাবা শিশিরবাবুকেও।

যদিও ধৃত অমৃতাভর পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে গোয়েন্দারা তাঁর ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ শনিবার আটকের পর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরেও নিজের পরিচয় খোলসা করেননি অমৃতাভ। সিবিআই সূত্রে খবর, অমৃতাভ মিহির চৌধুরীকে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিতে অস্বীকার করেছেন। যদিও মিহিরবাবুর দাবি, অমৃতাভ তাঁরই ছেলে। এই ধোঁয়াশা কাটাতেই ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর কথা ভাবছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে ‘মৃত’ ব্যক্তিকে জোড়াবাগান থেকে আটক করল সিবিআই

প্রসঙ্গত, ভুয়ো নথি দিয়ে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি আদায়ের ঘটনায় শনিবার রাতেই জোড়াবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয় অমৃতাভকে। ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর নথিপত্রের মাধম্যে নিজেকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে অমৃতাভ। এরপর ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট বানিয়ে রেলের চাকরি পাইয়ে দেয় নিজের বোনকে। সম্প্রতি রেলের অভ্যন্তরীণ অডিটে কারচুপির বিষয়টি নজরে এলে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মতো তদন্তে নেমে গত শনিবার অমৃতাভকে আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

 

Next Article