কলকাতা: গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর TV9 বাংলায় প্রথম খবরটা প্রকাশিত হয়েছিল। নিউটাউনে একাধিক আবাসন হেলে পড়ছে। নিউটাউনের সিএ, সিডি, ডিবি ব্লকে হেলে পড়া বাড়ির বিপজ্জনক ছবি। সিএ ব্লকের ‘কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ দেওয়ার পরই হেলে পড়েছে আবাসন। একের পর এক বাড়ি, আবাসন হেলে পড়ার কারণটা কী? সেক্ষেত্রে মাটির সমস্যার বিষয়টা উঠে এসেছিল। ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই একই ছবি ধরা পড়ল মানিকতলায়। মানিকতলাতেও পাঁচ তলা ভেঙে পড়েছে।
কলকাতা পৌরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুরারিপুকুর। বাইরে থেকে দৃশ্যত ঝাঁ চকচকে মুখার্জি পরিবারের বাড়ি। পাঁচ তলা। সোজাসুজি বাড়ির সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যাচ্ছে বাঁ দিকে হেলে পড়েছে বাড়ি। ওই অবস্থাতেই বসবাস করছেন বাসিন্দা। প্রায় ২২-২৩ বছরের বাড়ি। বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে অনেক দিন ধরেই রয়েছি। প্রথম যখন বাড়ি বানিয়েছিলাম, তখন সামান্য একটু ট্যারা ছিল। তারপর আস্তে আস্তে বসেছে। এখন আমরা কী করব, কোথায় যাব? আমাদের এখন ভয় লাগানোরও পরিস্থিতি নেই। পৌরসভার নজরে বিষয়টা এসেছে। আমাদের বলেছে ভালো ইঞ্জিনিয়ার ডেকে বিষয়টা দেখিয়ে নিতে।”
তবে মানিকতলার একটি বাড়ি নয়, এরকম পাঁচটা বাড়ি হেলে পড়েছে। মুখোপাধ্যায় পরিবারের বাড়ি-সহ পাঁচটি বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২৮,২৯ নম্বর বহুতলের বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। বাড়িগুলি কতগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বোরো আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
NKDAএর এক অধিকর্তা বলেন, “কেন বাড়িটি হেলে পড়ছে? তার কারণ হচ্ছে আনইক্যুয়াল সেকেলমেন্ট অফ সয়েল। অর্থাৎ মাটিরই সমস্যা। কিন্তু পুরো বিশ্লেষণটা কোনও সোয়েল বিশেষজ্ঞদের পক্ষেই বলা সম্ভব।”