Kolkata Police: ‘ধুম’ মাচিয়ে আটক ৬৭৭ বাইক চালক, বেআইনি পার্কিং করেও ফ্যাসাদে, পুজোয় কত ফাইন আদায় হল জানেন?

Kolkata Police: বুধবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় আটক হয়েছে ৬৭৭ জন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ আটক ৪০৪ জন। আর হেলমেট না থাকার সংখ্যা তো ৭০০-র উপরে। পুলিশের হাতে আটক ৮৭৭ জন।

Kolkata Police: 'ধুম' মাচিয়ে আটক ৬৭৭ বাইক চালক, বেআইনি পার্কিং করেও ফ্যাসাদে, পুজোয় কত ফাইন আদায় হল জানেন?
পুজোর সময় ট্রাফিক কন্ট্রোলImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2023 | 5:54 AM

রঞ্জিত ধর ও সুশোভন ভট্টাচার্য

কলকাতা ও বিধাননগর: সদ্যই শেষ হয়েছে পুজো। আলোয় সেজে উঠেছিল শহর কলকাতা। অত্যন্ত দক্ষতা ও সক্রিয়তার সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এর মধ্যেও একদল মানুষ যাঁরা আইনের ধারধারেননি। পুজোর মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে ঘোরাঘুরি, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো সহ একাধিক অভিযোগে আটক হয়েছেন বহু। শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, বিধাননগর পুলিশের হাতেও আটকের সংখ্যা একাধিক।

বুধবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় আটক হয়েছে ৬৭৭ জন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ আটক ৪০৪ জন। আর হেলমেট না থাকার সংখ্যা তো ৭০০-র উপরে। পুলিশের হাতে আটক ৮৭৭ জন।

অপরদিকে, মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত বিধান নগর কমিশনারেটের পুলিশ বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোয় আটক ১৫ জন, সিগন্যাল না মানায় আটক ৫৩৩ জন, বেআইনি পার্কিং করে আটক ৬৩৯ জন, তিনজন নিয়ে বাইক চালানো,হেলমেট বিহীন বাইক চালানোয় আটক ৩৮৩ জন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাইক চালানোয় আটক ১৪ জন,এছাড়া গুডস ভেহিকেল, বাস পুললকার, অটো ট্যাক্সি সহ মোট ২ হাজার ৬৫৭ টি গাড়ি আটক করে কেস করা হয়েছে। মোট ২২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার ফাইন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুজোর অনেক আগে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ প্ল্যানিং করে কীভাবে শহরকে সচল রাখা যায়। পুলিশের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ থাকে পুজোর দিনগুলি। তার জন্য আগাম বৈঠক করেন শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। এমনকী পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক করা হয়। এই বছরও বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় রাত্রিবেলার বেপরোয়া গাড়ি। এই বছরও পুজো কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টিই উঠে আসে ধনধান্য স্টেডিয়ামে। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়, যেভাবে বেপরোয়া গাড়ি চলে তাতে পুজো কমিটি গুলিরও সমস্যা হয়। এরপর আরও কড়া হয় পুলিশ। আটক করা হয় একের এককে।