AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fire: তিলজলায় জুতোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন

৪২ নম্বর রুটের বাসস্ট্যান্ডের কাছে আগুন লাগায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী।

Fire: তিলজলায় জুতোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন
তিলজলায় জুতো কারখানায় বিধ্বংসী আগুন।
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 8:50 PM
Share

কলকাতা: ফের বিধ্বংসী আগুন শহরে। এবার তিলজলায় একটি জুতোর গুদামে আগুন লাগল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একেবারে ৪২ নম্বর রুটের বাসস্ট্যান্ডের কাছে আগুন লাগায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। ঝুঁকি এড়াতে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ তিলজলায় ৪ নম্বর সাতগাছি এলাকায় একটি বহুতলের নীচে জুতোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। কী ভাবে জুতোর কারখানাটিতে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা বা সেটি কাজ করছিল কিনা তাও এখনও জানা যায়নি। আপাতত দমকলের ৯টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে দমকল বাহিনী। তবে এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, CESC এবং কলকাতা পুলিশের দল। বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ৪২ নম্বর রুটের বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত জুতোর কারখানা থেকে আগুন বেরোতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিজেরাই প্রথমে বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কারখানার ভিতরে রবার, লেদার সহ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেগতিক বুঝে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দমকলে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু, আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় পরে দু-দফায় আরও ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে দমকলকর্মীরাও রীতিমতো হিমশিম খান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের জল, ORS দেন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বহুতলটির ‘কুলিং ডাউন’ প্রসেস চলছে। জুতোর গুদামে কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা জানতে এবার বহুতলের ভিতর ঢুকছেন দমকলকর্মীরা। কালো ধোঁয়ায় পূর্ণ বহুতলটির ভিতরে মুখে মাস্ক পরে ঢুকেছেন দমকলকর্মীরা।