Medical College: মেডিক্যালে মাথায় হাত MBBS পড়ুয়াদের! রিভিউ করাতেই নম্বর ৭০ থেকে কমে ৩০

Medical College: প্রথমবারের রিভিউয়ের পরই প্রাপ্ত নম্বর দেখে চমকে যান পড়ুয়ারা। দ্বিতীয়বার রিভিউয়ের আবেদন করেন তাঁরা। তাতে ফের কমে যায় নম্বর।

Medical College: মেডিক্যালে মাথায় হাত MBBS পড়ুয়াদের! রিভিউ করাতেই নম্বর ৭০ থেকে কমে ৩০
প্রতীকী ছবি

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 10, 2023 | 8:31 PM

কলকাতা: এক বিচিত্র মূল্যায়ন হয়ে গেল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। রিভিউয়ে পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা হয়ে গেল ফেল! কেন এমন ঘটল? তা জানতে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ডিন-সহ বিভাগীয় চিকিৎকসেরা। এমবিবিএসে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেলে তা অনার্স হিসেবে গ্রাহ্য হয়। এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন এমন কয়েকজন ছাত্রছাত্রী রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। আর তাতেই তাঁদের নম্বর ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়ে যায়। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের নীচে নম্বর পাওয়ার অর্থ হল ফেল।

প্রথমবারের রিভিউয়ের পরই প্রাপ্ত নম্বর দেখে চমকে যান পড়ুয়ারা। দ্বিতীয়বার রিভিউয়ের আবেদন করেন তাঁরা। তাতে ফের কমে যায় নম্বর। ৩০ শতাংশ থেকে নম্বর কমে হয়ে যায় ২৮ শতাংশ! কোন যাদুবলে এমন ঘটছে? নম্বর কমছে কীভাবে? উত্তর স্পষ্ট হয়নি মেডিক্যাল কলেজের আধিকারিকদের কাছে। এরপর‌ই বুধবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোটেন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ।

এই কলেজ থেকে মোট ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেন। মোট তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৪ জন বাকি বিষয়গুলিতে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেলেও বায়ো কেমিস্ট্রিতে তাঁরা ৭৫-এর কিছু কম পেয়েছিলেন। ৭০ এর ওপর নম্বর ছিল। অর্থাৎ আর ৪-৫ নম্বর পেলেই অনার্স পেতে পারতেন তাঁরা। সে কারণেই রিভিউ করতে দিয়েছিলেন। আর তাতেই এই বিপত্তি। আরও জানা গিয়েছে, যে চারজনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই যথেষ্ট মেধাবী হিসেবেই পরিচিত।

সূত্রের খবর, নম্বরের এমন অস্বাভাবিক পতনের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। সে জন্য‌ই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে টিভি নাইনের ক্যামেরা দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যান অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এবং উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী।

মূলত স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ই এই পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষার রিভিউও হয় সেখান থেকেই। তবে, এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের অস্বস্তিও ক্রমশ বাড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ খুলতে চাননি অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। আর উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। কীভাবে হল বুঝতে পারছি না।” পড়ুয়াদের একাংশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ঘটনায়।