কলকাতা: চরম আতঙ্ক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্যালাইন বিভ্রাটে ইতিমধ্যেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরও তিন। ২ জনকে ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে। প্রসূতিদের বাঁচাতে নাছোড় লড়াই চিকিৎসকদের। হাসপাতাল থেকে সরানো হয়েছে নিষিদ্ধ স্যালাইন। কিন্তু নিষেধ সত্ত্বেও কীভাবে মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা হাসপাতালে ঢুকল এই নিষিদ্ধ স্যালাইন? প্রশ্ন উঠছে সেটাই। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আরও ৭ ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন ছাড়াও স্ক্যনারে অক্সিটোসিন। আট ওষুধের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশিকাতেও স্যালাইনেই গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সাত ওষুধের নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাচের ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ওষুধগুলো হল RANITIDINE (অ্যাসিডিটি), CEFTRIAXONE (অ্যান্টিবায়োটিক), ONDANSETRON (বমি ভাব কমানোর ওষুধ), FENTANYL CITRATE (ব্যথা কমানোর ওষুধ), OXYTOCIN (প্রসবের গতি বাড়াতে, প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্যবহার)।
পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের মজুত সব লিঙ্গার ল্যাকটেটের ব্যবহারই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিশেষজ্ঞ দলের পরিদর্শনের পর তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, যে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, আর যাঁরা যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের কোর্স অফ ট্রিটমেন্টের যাবতীয় সমস্ত ওষুধের স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। আসলে এখনও বিশেষজ্ঞ দল নিশ্চিত নয়, যে লিঙ্গার ল্যাকটেটের জন্যই এটা হচ্ছে। তাই ৭ ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনায় চিকিৎসকদের একাংশ স্বাস্থ্য দফতরের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। চিকিৎসক শ্বারদত মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের চূড়ান্ত গাফিলতি ও দুর্নীতির মাসুল দিচ্ছেন প্রসূতি। কোথাও এরকম নজির মেলেনি, যেখানে ব্যান্ড স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। ”