NDRF team: হাড়হিম ঠান্ডায় ধ্বংসস্তূপের নীচে শিশুকন্যা… কলকাতায় ফিরে তুরস্কের উদ্ধারকাজের কাহিনি শোনাল NDRF
NDRF: আবহাওয়া একটা বড় সমস্যা ছিল ওই অঞ্চলে। এছাড়া ওখানকার বাসিন্দারা ইংরেজিও বলতে পারেন না, ফলে গুগলের মাধ্যমে কোনও ক্রমে তাঁদের কথা বোঝার চেষ্টা করতে হত।
কলকাতা: ‘অপারেশন দোস্ত’ সেরে শহরে ফিরল এনডিআরএফের দল। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে বন্ধু হিসেবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। আর সেই সূত্রেই গিয়েছিল এনডিআরএফ। সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল সেই দল। চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরেছে সেই দলের সদস্যরা। শনিবার শহরে ফিরলেন সেই দলের ৫০ জন কর্মী। মোট ১৫১ জনের দল তুরস্ক গিয়েছিল, যার মধ্যে ৫০ জন সদস্য ছিলেন কলকাতার। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। তুরস্কে গিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা হল, সেটাই ভাগ করেন নিলেন তাঁরা। দুই শিশুকন্য়াকে বাঁচানোর এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন তাঁরা।
বুধবার শহরে ফিরে সেখানকার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন দলের ক্যাপ্টেন সহ অন্যান্য সদস্যরা। মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও কাজ করেছেন তাঁরা। চলতি মাসের ৭ তারিখ মধ্যরাতে তুরস্কে পৌঁছন তাঁরা। একটানা ১০ দিন কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁদের।
এনডিআরএফের বিশ্বজিৎ পরাসর জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি সদর দফতর থেকে বার্তা আসে তাঁদের কাছে। এরপরই দিল্লি থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। ৭ তারিখ রাতে পৌঁছন সেখানে। পরের দিন ভোরেই নূরদাগি নামে একটি জায়গা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ওই দল।
ওই আধিকারিক জানান, আবহাওয়া একটা বড় সমস্যা ছিল ওই অঞ্চলে। এছাড়া ওখানকার বাসিন্দারা ইংরেজিও বলতে পারেন না, ফলে গুগলের মাধ্যমে কোনও ক্রমে তাঁদের কথা বোঝার চেষ্টা করতে হত। তুরস্কের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটা বাড়ি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল প্রায়। ৯ তারিখে কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় ব্য়ারেন নামে একটা ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার করেন তাঁরা। পরের দিন আর এক শিশুকেও উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তুরস্ক থেকে ফেরার পর সেখানকার মানুষ হিন্দিতে অনুবাদ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের। দেশে ফেরার পর তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।