কলকাতা: সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর এক বৈঠকে বসেছিল। আর সেই বৈঠক থেকে সামনে এসেছে উদ্বেগের তথ্য। আসানসোলে কন্যাসন্তানের জন্ম ক্রমেই কমছে। বিশেষ করে রানিগঞ্জ, কাঁকসা, পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের ছবিটা ভাবাচ্ছে। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু। বিজেপি নিশানা করছে রাজ্যের সরকারকে, পাল্টা তৃণমূলও সরব কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য, “রানিগঞ্জে, যেখানে আমার মায়ের জন্ম, সেখানে আজ কন্যাভ্রূণ হত্যা হচ্ছে। হরিয়ানার থেকেও কম বলা হচ্ছে কন্যার জন্মহার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি শুনতে পাচ্ছেন?”
পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। আমরা মা দুর্গার পুজো করি। আমার যখন নাতনি হয় আমি ৭ হাজার লাড্ডু খাইয়েছিলাম। আমাদের সব মেয়েরাই কন্যাশ্রী। বিটি ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও বলে শুধু বিজ্ঞাপন দিলেই হবে না।”
সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে যে তথ্য উঠে আসছে তাতে, রানিগঞ্জের ছবিটা যথেষ্ট চিন্তার। রানিগঞ্জ শহরে ১ হাজার পুত্রসন্তান পিছু ৮৩৩ জন কন্যাসন্তানের জন্ম হচ্ছে। রানিগঞ্জ ব্লকে সেই সংখ্যাটা ৮৭৯। কাঁকসায় সংখ্যাটা ৮৮৬, বারাবনিতে ৯৪৩।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্য, “২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বার্থ রেজিস্ট্রেশনের নথিতে দেখা যাচ্ছে জেলার কয়েকটি জায়গায় কন্যাসন্তানের জন্মের হার তুলনামূলক কম। রানিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর, কাঁকসা ব্লকটা নজরে পড়ার মতো। তাঁর আশঙ্কা, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জেনে গর্ভপাত করানো হচ্ছে। কোথায় তা হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, ঝাড়খণ্ডে গিয়ে অনেকে তা করে আসছে।