একদা এন্ড্রুল সংস্থায় কাজ করতেন শিল্পমন্ত্রী, বাংলা থেকে সরে যাওয়ায় কড়া চিঠি কেন্দ্রকে

সৈকত দাস |

Jun 24, 2021 | 12:37 AM

বারবার বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সেইল)-র আরএমডি (মেটিরিয়ালস ডিভিশন)-র কলকাতা দফতর বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব হয় রাজ্য।

একদা এন্ড্রুল সংস্থায় কাজ করতেন শিল্পমন্ত্রী, বাংলা থেকে সরে যাওয়ায় কড়া চিঠি কেন্দ্রকে
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্য। এবার এন্ড্রুল (Andrew Yule & Co. Ltd) সংস্থা কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

বুধবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন। সেখানে মূলত এন্ড্রুলের শাখা বাংলা থেকে তুলে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আসলে সংস্থার সঙ্গে সরাসরিভাবে এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত বহু কর্মী-শ্রমিকদের নিধন প্রক্রিয়া বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই মর্মে কিছুদিন আগে এন্ড্রুলের বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের তরফেও কিছুদিন আগে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই সংস্থা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দেশের শিল্প ও বাণিজ্য় মন্ত্রকে চিঠি পাঠান শিল্পমন্ত্রী। পাশাপাশি জলপাইগুড়ির একটি টি-অকশন সেন্টারও অসমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পার্থবাবু। তারও বিরোধিতা করে তিনি কেন্দ্রকে চিঠি দেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিন পার্থবাবু বলেন, “এন্ড্রুল (Andrew Yule & Co. Ltd) কলকাতার শাখা তুলে দেওয়া, বিক্রির যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে এবং সংস্থার বোর্ড অফ ডাইরেক্টরের পাশ করানো হয়েছে, তাতে কর্মীদের যে নিধন করার প্রয়াস। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জন্য চিঠি দিয়েছি। ঠিক একইভাবে জলপাইগুড়ির টি-অকশন কেন্দ্র তুলে নেওয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন মিনিস্ট্রি অফ কমার্স, তারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দফতর (শিল্প) থেকে চিঠি পাঠাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, এন্ড্রুল (Andrew Yule & Co. Ltd) হল একটি মাঝারি-ভারী শিল্প সংস্থা। এর ৯৭ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে ভারত সরকারের হাতে। ইঞ্জানিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, চা এবং প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থার পথ চলা শুরু ১৯৪৮ সালে। স্বাধীনতার পর থেকে এই পুরনো সংস্থাটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। বিভিন্ন শহরে এই সংস্থার শাখা রয়েছে। এর কলকাতা শাখায় এক সময়ে কর্মরত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নিজেই। সেই সংস্থাকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন তিনি।

বারবার বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সেইল)-র আরএমডি (মেটিরিয়ালস ডিভিশন)-র কলকাতা দফতর বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব হয় রাজ্য। বাংলার দু’টি (বার্নপুর ও দুর্গাপুর) স্টিল প্ল্যান্টকে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন অমিত মিত্র।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মামলাটি ছেড়ে দিন, শুনানির আগের রাতে সরাসরি বিচারপতিকে চিঠি মমতার আইনজীবীর

সম্প্রতি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। এসবের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে নয়া দ্বৈরথের সম্ভাবনা দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

Next Article