কলকাতা: চার বছরের একমাত্র সন্তানকে খুন করে ব্যাগে করে নিয়ে আসছিলেন মা। সূচনা শেঠের সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। হার্ভার্ডের গবেষক সূচনা কলকাতারই মেয়ে। কলকাতাতেই বেড়ে ওঠা তাঁর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহে তাঁর মামারবাড়ির খোঁজ পেল টিভি-৯ বাংলা। ২০২১ সালে সূচনার মায়ের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর পরিবার নিয়ে ছায়াবৃত নামে ওই বাড়িতে তিনি এসেছিলেন। দীর্ঘদিন ছিলেনও। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি এখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে আর এখানে দেখা যায়নি বলে খবর। কিন্তু, চেনা সেই সূচনার যে অচেনা রূপ তাঁর মামার বাড়ির এলাকার লোকেরা দেখতে পেয়েছেন তাতে অবাক সকলেই। সকলেই বাকরুদ্ধ। কেউ বিশেষ ক্যামেরার সামনে কথাও বলতে চাইছেন না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১০ সালে এই মামার বাড়ি থেকেই সূচনার বিয়ে হয়। এখানেই তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছিল একটি ভাড়া বাড়িতে। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে তিনি ভিন রাজ্যে চলে যান। বেঙ্গালুরুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা একটি স্টার্টআপ বিজনেসও খোলেন। তারপর থেকে সেখানেই থাকতেন। কিন্তু, গত সোমবারের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। কিন্তু এর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ?
ইতিমধ্যেই সূচনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে পেশ করার পর ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সেই জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই তিনি কাণ্ড করে থাকতে পারেন। প্রথমে কাফ সিরাপ খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করে দেওয়া হয়েছিল ৪ বছরের বাচ্চাটিকে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর ব্যাগের মধ্যে সেই দেহ ভরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সূচনা। যদিও পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে।