বেশি বিচলিত হবেন না। দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও বেশ কিছু জিনিসের। খুচরোর বদলে যদি, প্যাকেটবন্দি চাল, গম, মুড়ি কেনেন তাহলে আরেকটু বেশি দাম দিতে হবে। তারপর ধরুন, দই, লস্যি, ছাঁচ, পনির বা প্যাকেটবন্দি মাছ, মাংস কিনলেন, তাতেও একটু বেশি রেস্ত খসবে। কারণ, আজ থেকে জিএসটি কাঠামোয় কিছু বদল এসেছে। না, একেবারেই বিচলিত হবেন না। এখনও পেট্রোল-ডিজেল জিএসটির আওতায় আসেনি। জিএসটি-র আওতায় জ্বালানি তেল এলে আপনার পকেটে কিছুটা সাশ্রয় হতে পারত। তা হচ্ছে না। এতে একদম বেশি বিচলিত হবেন না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে যে হাইপ তৈরি হয়েছে, তা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও বজায় থাকছে। বাংলার সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল, জগদীপ ধনখড় খাতায় কলমে উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। সেটাই দিল্লির দেওয়াল লিখন।
উল্টোদিকে, বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা অঙ্কের বিচারেই অনেকটা পিছিয়ে। ঠিক যেমন, রাইসিনার রেসে বিরোধীদের ঐক্য ভেঙে তছনছ করে বিজেপি, দ্রৌপদী মুর্মুকে জিতিয়ে আনছে। সেরকমই, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ধনখড়কে প্রার্থী করে, তৃণমূলকে ব্যাপক দোটানায় ফেলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা। তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারের কথায়, কথায় কথায় অপমানিত হতেন যিনি, তিনি রাজভবনে আর থাকছেন না। এই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আনন্দে মশগুল তৃণমূল। কিন্তু কী রকম শাঁখের করাতের দশা বলুন তো! ধনখড়কে ভোট দিলে বিরোধী-ধর্ম ভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। আবার ধনখড়কে সমর্থনে ফাঁড়া কাটার হাতছানি! এই ধর্মসঙ্কটে তৃণমূল কী আগে পড়েছে?
বেশি বিচলিত হবেন না। বাংলাতেও রিসর্ট রাজনীতি ঢুকে পড়ল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা একসঙ্গে থাকলেন। বিরোধী দলনেতা বলছেন, তৃণমূলের মতো অত পয়সা তাঁদের নেই! বালাই ষাট, যা আছে তাতেই তো বিজেপি দেশের সবথেকে বড়লোক রাজনৈতিক দল। কোটি, কোটি টাকার ব্যাপার স্যাপার সেসব। জনতা আদার ব্যাপারি। তবুও কখনও তো জাহাজের খবর নিতে ইচ্ছে হয় না কি! রাষ্ট্রপতি হলে দ্রৌপদী মুর্মু মাসে ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। উপরাষ্ট্রপতি হলে জগদীপ ধনখড় পাবেন ৪ লক্ষ টাকা।
ওদিকে, আবার ৫ হাজার টাকার বেশি খরচের হাসপাতালের বেডে ৫ শতাংশ কর বসল। হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কম ভাড়ার ঘরে জিএসটি বেড়ে হল ১২ শতাংশ। না, একদম বিচলিত হবেন না। টিভি নাইন বাংলায়, না বললেই নয়। রাত ৮.৫৭, দেখতে ভুলবেন না।