কলকাতা : সাম্প্রতিক ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কালীঘাটে মমতার বাড়িতে লুকিয়ে বসেছিলেন ওই যুবক। কী কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই তদন্তে এবার ব্য়বহার করা হচ্ছে GAIT প্যাটার্ন প্রযুক্তি। এর আগে কলকাতা পুলিশ দুটি ঘটনায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে দেখা গিয়েছে, তিনিই হাফিজুল কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। তা মিলিয়ে দেখার জন্যই এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঠিক কী ভাবে হাফিজুল মোল্লা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন, সেটা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করেছে পুলিশ। বিশেষ তদন্তকারী দল সেই ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। মূলত কোনও ব্যক্তির হাঁটার ধরন খতিয়ে দেখা হয় এই গেট পদ্ধতিতে। এ ক্ষেত্রেও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এবং সাইন্টিফিক উইং-এর বিশেষজ্ঞরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেই ফুটেজ মিলিয়ে দেখবেন। সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে সন্দেহভোজনের হাঁটার ধরনে মিল রয়েছে কি না, সেটা দেখেই নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারীরা।
প্রত্যেক মানুষের হাতের রেখা, চোখের মণিতে যেমন পার্থক্য থাকে, তেমনই হাঁটার ধরনও প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়। সেটা দেখে মানুষকে চিহ্নিত করা যায় সহজেই। তাকেই বলা হয় গেট পদ্ধতি। বলা যেতে পারে এ ক্ষেত্রেও ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হবে। সোমবার আদালতে আজ সরকারি আইনজীবী তদন্তের স্বার্থে GAIT প্যাটার্ন ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সরকারি আইনজীবী এ দিন আরও জানিয়েছেন কালীঘাট-কাণ্ডে ধৃত হাফিজুলের নামে আরও একটি মামলা রয়েছে রাজস্থানে।
উল্লেখ্য, হাফিজুলের পরিবার দাবি করেছে, মানসিক সমস্যা থাকার কারণেই এমনটা করেছে হাফিজুল। সেই দাবি সত্যি কি না, সেটাও যাচাই করে দেখবেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ওই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর মমতার বাড়ির নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।