কলকাতা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Pachayet Elections)। তার আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক কতটা শাসক শিবিরের হাতে রয়েছে, তা নিয়ে চর্চার শেষ নেই। বিশেষ করে নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddiqui) গ্রেফতারি এবং তারপর সাগরদিঘির মতো একটি বিধানসভা কেন্দ্র, যেখানে প্রায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার, সেখানে উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর থেকে আরও বেড়েছে গুঞ্জন। এমন অবস্থায় ভাঙড়ে শওকত মোল্লাকে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধসের আশঙ্কা থেকেই কি এই বাড়তি সতর্কতা তৃণমূল শিবিরে? ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে শওকতকে দায়িত্ব দেওয়া কীভাবে দেখছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী?
শনিবার বিধানসভার বাইরে তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নওশাদ জানান, শাসক দলে কে দায়িত্ব পাচ্ছেন, সেই নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। তাঁর বক্তব্য, মানুষ কেবল দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ পঞ্চায়েত চান। এরপরই নওশাদ বলেন, ‘যদি দায়িত্ব নেওয়ার হয়, তাহলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়ে যেন ভাঙড়কে চালান।’
নওশাদের কথায়, তিনি সৌজন্যের রাজনীতি পছন্দ করেন। সেই মতো যদি কেউ চলেন, তাহলে সেই পথকে স্বাগত জানাচ্ছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। কিন্তু যদি কেউ ভাঙড়ের পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন, তাহলে প্রতিবাদ হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার কিছু হারানোর নেই। আমি ক্ষমতা দখল করতে আসিনি। মারধর করে, জোর জবরদস্তি করে পঞ্চায়েত দখলের স্বপ্নও আমার নেই। আমার স্বপ্ন সমাজ বদল করা এবং তাতে অবশ্যই আমি সফল হব।’
উল্লেখ্য, নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। শাসক দলের তরফে ফিরহাদ হাকিম ও কুণাল ঘোষ একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন, আইএসএফ ভোট কাটুয়ার কাজ করছে। এমনকী বিজেপির বি টিম বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরবর্তী সময়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ঠিক পরপরই ভাঙড়ে শওকতের এই বাড়তি দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।