কলকাতা: এ বলে আমায় দেখ। আর ও বলে আমায় দেখ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এ লড়াইয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। বায়ু দূষণে জোর টক্কর পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির। কিছু এলাকায় দিল্লিকেও টেক্কা দিল কলকাতা। দীপাবলির পর বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণে কলকাতা ও দিল্লির মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে।
দীপাবলিতে বায়ু দূষণ নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। বাস্তবে সেই ছবিই ধরা পড়ল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যথেষ্ট উদ্বেগের ছিল। আনন্দ বিহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায়ও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। রোহিণীতে যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৮৪ মাইক্রোগ্রাম। আর লোদী রোড এলাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম।
দিল্লির বায়ু দূষণ যদি উদ্বেগ বাড়ায়, খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিধাননগর ও যাদবপুরেও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। হাওড়ার ঘুষুড়িও শুক্রবার রাতে ৫০০-র গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম।
পরিবেশবিদদের বক্তব্য, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৫০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত অতি সূক্ষ্ম ধুলিকণার উপস্থিতিকে ভাল হিসেবে ধরা হয়। আর ৫১-১০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপস্থিতি সন্তোষজনক। কিন্তু, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০-র বেশি অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপস্থিতি গুরুতর। শুক্রবার রাতে কলকাতার একাধিক জায়গায় সেই পরিমাণ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপস্থিতি ছিল।