কলকাতা: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর মৃত্যুর তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন আরও বাড়ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল (Jadavpur University Main Hostel) থেকে উদ্ধার হয়েছে রহস্যজনক ডায়েরি। হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই ডায়েরি। সূত্রের খবর, এই ঘরেই ছিল বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়া। ডায়েরি কার? তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর সঙ্গে কী এই ডায়রি কোনওভাবে যুক্ত? বিশেষজ্ঞ দিয়ে চলছে পরীক্ষা। তদন্তে স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ যাদবপুর থানায় আসেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্ত্তী।
শনিবার সন্ধ্যাতেই মনোতোষ সহ বেশ কয়েকজনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যাদবপুর থানায়। সূত্রের খবর, যে কটা দিন হস্টেলে ছিল ওই ছাত্র সেই কদিন তাঁর রুমমেট ছিল এই মনোতোষ। এমনকী গেস্ট হিসাবে মেইন হস্টেলে থাকতে গ্রেফতার হওয়া সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গে ওই ছাত্রকে সাহায্য করেছিল এই মনোতোষও। সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় ডাকা হয় প্রায় ১০ জন পড়ুয়াকে। যদিও এদিন কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এর প্রত্যেকেই সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বলে খবর। যাদবপুর থানায় আসেন ডেপুটি কমিশনার সাউথ সাব আর্বান ডিভিশন বিদিশা কলিতা। শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনিও।
ঘটনায় যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্তী সাফ জানাচ্ছেন, “ক্যাম্পাসের ভিতর কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। থাকলেও সেটি বিকল অবস্থায় রয়েছে। তাই তদন্ত করতে অনেকটাই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই সিসিটিভি না থাকার কারণে আপনারা যা দেখছেন আমরাও সেটাই দেখছি। তদন্ত এভাবেই হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত একজনকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। বাদবাকি সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজকে ১০-১২ জনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।”