Weather Update : রোববারেও ‘ছুটি’ নেই বৃষ্টির, ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া
Weather Update : যদিও বৃৃষ্টির জন্য কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে অনেকটাই পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতা : নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে শনিবারের পর রবিবারও মুখ ভার বাংলার আকাশের। রবিবার রাজ্যের ৯ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (Rain Forecast)। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গও। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রবিবার। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে সোমবারও চলবে বৃষ্টির দাপট। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টায় ঝোড়ো বাতাস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে রয়েছে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি। তারপর মেঘ কেটে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে তাপমাত্রা।
যদিও বৃৃষ্টির জন্য কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে অনেকটাই পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬১ থেকে ৯১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে বৃষ্টি হয়েছে ১.৯ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজস্থান থেকে বিহার পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান করছে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখার অবস্থান। অক্ষরেখার প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে সাগর থেকে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ড এলাকায়।
রবিবার দিনভর মেঘলা আকাশের দেখা মিলেবে রাজ্যের প্রায় প্রতিটা জেলাতেই। প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে একটানা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের চা বাগান এবং উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আমবাগানের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ক্ষতির আশঙ্কা আলু চাষিদের। এছাড়াও শিলাবৃষ্টির জেরে সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। শিলিগুড়িতে চলছে ব্যাপক বৃষ্টি। নাগাড়ে বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। বেলা ১০ টা বেজে গেলেও সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি শহরের বাসিন্দারা। গত বুধবার কাল বৈশাখীর পর গত দুদিন সকালে আকাশের মুখ ভার থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু রবিবার কাক ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরে।