কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলে সংক্রমণের অভিযোগ ঘিরে যখন তুলকালাম। তখন তার পাশের ওয়ার্ডে আলিপুর জেল হেফাজতে থাকা পামেলা গোস্বামী অভিযোগ তুললেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত থেকে বেরোনোর সময় কোকেনকাণ্ডে ধৃত পামেলা জানান, জেলের জল খেয়ে তিনি অসুস্থ। ডায়রিয়া হয়েছে তাঁর।
কোকেনকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে। একই ঘটনায় ধৃত বিজেপি নেতা রাকেশ সিংও। এদিন দু’জনকেই আদালতে তোলা হয়। আলিপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পামেলা আবারও দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আলিপুর জেলে জল খেয়ে আমি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। আমার শরীর খুব খারাপ।”
অন্যদিকে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে এদিন পামেলাকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন রাকেশ। তাঁর দাবি, ফাঁসানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে পামেলাকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা দলদাসের মত বলেও একই হুঙ্কার ছাড়েন এই বিজেপি নেতা। রাকেশের অভিযোগ, “পুলিশ আমাকে নতুন করে দু’টো কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমি যাতে প্রার্থী না হতে পারি, নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ না করতে সেই জন্য এই চক্রান্ত। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলে মুরলীধর শর্মা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিনাশ হবে।”
আরও পড়ুন: ‘আমি কোনওভাবেই বিজেপির প্রার্থী হচ্ছি না’, নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সোমেন-জায়া
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মীকে মারধর করা, হুমকি দেওয়া ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও দু’টি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে।
রাকেশ-মামলায় সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, মাদককাণ্ডে গ্রেফতারির পর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন রাকেশ সিং পুলিশ কর্মীকে মারধর করেন এবং এক তদন্তকারী অফিসারকে জলের বোতল ছুঁড়ে মারেন বলেই অভিযোগ। তাই তাঁকে তদন্তের প্রয়োজনে জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। পাল্টা রাকেশের আইনজীবী বলেন, এ ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তাই তাঁদের তরফে জামিনের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু দু’ পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক রাকেশকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে পামেলা গোস্বামীকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত দেন বিচারক।