Kunal Ghosh: কাকতালীয়! যা টুইট করলেন কুণাল, ২০ মিনিট পর তাই হুবুহু বললেন পার্থ

Kunal Ghosh: ব্যাপারটা কি ভীষণই রহস্যজনক নয়? নাকি কেবল কাকতালীয়? প্রশ্ন বিরোধীদেরই। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখন বেলা বারোটা বাজতে কিছু সময় বাকি।

Kunal Ghosh:  কাকতালীয়! যা টুইট করলেন কুণাল, ২০ মিনিট পর তাই হুবুহু বললেন পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 8:30 AM

কলকাতা: ব্যাঙ্কশাল আদালতে ঢোকার মুখে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিলেন সুজন-শুভেন্দু-দিলীপের নাম। ঝাঁপিয়ে পড়লেন আদালত চত্বরে থাকা সাংবাদিকরা। তাঁরা প্রশ্ন করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজন-শুভেন্দু-দিলীপ যোগের কারণও ব্যাখ্যা করলেন পার্থ। কিন্তু এরই মধ্যে ফোকাসে একটি টুইট, যেটি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, পার্থ আদালত চত্বরে বোমা ফাটানোর ঠিক ২০ মিনিট আগেই টুইট করেছিলেন কুণাল। আলোচ্য বিষয় একই। কুণাল যে যে নাম করেছিলেন টুইটে, সেই নামই আওড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ব্যাপারটা কি ভীষণই রহস্যজনক? নাকি কেবল কাকতালীয়? প্রশ্ন বিরোধীদেরই। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখন বেলা বারোটা বাজতে কিছু সময় বাকি।

সাংবাদিকরা কিছু প্রশ্ন করার আগেই পার্থ বলেন, “পরিষ্কার ভাষায় বলছি, যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ বাবু, শুভেন্দু বাবুরা বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। ২০০৯-১০-এর ক্যাগ রিপোর্ট দেখুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন। আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না। আমি নিয়োগ কর্তা নই। এ ব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না।”

টিভিতে তখন চলছে লাইভ টেলিকাস্ট। এরপরই দেখা যায়, ১১.৪২ মিনিটে টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানেই সেই একই নাম। কুণাল টুইটে লেখেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, এও কী সম্ভব? একজন গারদের ও প্রান্তে, আরেকজন  বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের অবস্থানকে সম্যকভাবে উপলব্ধি করছেন। তাহলে কীভাবে মিলে গেল দু’জনের চিন্তাভাবনা? তাও আবার একই দিনে? এটা কি কেবলই কাকতালীয়? পার্থ ও কুণালের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা দলেরও কারোর অজানা নয়। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মত পোষণ করেছেন একাধিকবার। কিন্তু বিরোধীদের বিশেষত সিপিএম-বিজেপি বিঁধতে সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুর নাম একই সঙ্গে কিছু সময়ের ব্যবধানে করলেন কুণাল-পার্থ? এতটাও কি তাঁদের মননের মিল? নাকি এর পিছনে জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ?

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমার কথা মিলে গেল। সবটা সাজিয়ে দেওয়া আছে। অলীক কু নাট্য। এই ক্যাম্পেন অরগানাইজড। সবটা সাজানো ছিল। এক এক জন তাতে লিপ দিচ্ছেন।” বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানান, ২০১১-১২ সালে তিনি রাজনীতিতে ছিলেন না, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও চিনতেন না। তিনি বিশেষ আমলই দিতে চাননি এসব বিষয়কে। কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘আমি টুইটে যা বলেছি, আগেও বলেছি। অভিমুখ একই তো হবে। আমি তো আরও একটা নাম বেশি বলেছি। পার্থ বাবু সেটা বলেনি। আর শুভেন্দু যখন বলে ইডি যাবে , ইডি চলে যায়।’