AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Partha Chatterjee: ‘আমি কিছুই করিনি’, ভরা এজলাসে কাতর অনুনয় পার্থর, বারবার ভর্ৎসনা আদালতের

সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ১৫২ জন যোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি, অথচ বিভিন্ন এজেন্ট মারফৎ টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে সিবিআই।

Partha Chatterjee: 'আমি কিছুই করিনি', ভরা এজলাসে কাতর অনুনয় পার্থর, বারবার ভর্ৎসনা আদালতের
Image Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2024 | 5:11 PM
Share

কলকাতা: শীর্ষ আদালতে জামিন চাইতে দিয়ে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এবার নিম্ন আদালতেও ভর্ৎসিত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি কোন আদালতে হবে? তা নির্ধারণ করার এক্তিয়ার আপনাকে কে দিল? পার্থর আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের। এজলাস পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ। আজ, বৃহস্পতিবার বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ‍্যায়ের এজলাসে ছিল সেই জামিন মামলার শুনানি। সেখানেই উঠল একের পর এক প্রশ্ন।

পার্থর আইনজীবীকে বিচারকের প্রশ্ন, আপনাকে কে অধিকার দিয়েছে, কোন বেঞ্চে মামলা হবে আপনি ঠিক করে দেবেন? কী কারণে কোর্টের সময় নষ্ট করছেন? এদিকে জামিনের জন্য এদিন কাতর আর্জি জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ১৫২ জন যোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি, অথচ বিভিন্ন এজেন্ট মারফৎ টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ‍্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, এই তালিকা পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে।

এই মুহূর্তে তথ‍্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে, সাক্ষীদেরও বয়ান নেওয়া হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। তারা মনে করছে, এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্যের পরও মরিয়া চেষ্টা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভার্চুয়ালি তিনি বিচারককে বলেন, “আমাকে জামিন দিন। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে বোর্ড করেছে। আমাকে বাঁচান… আমাকে জামিন দিন। ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না…। আর কতদিন আটকে থাকব?”

পার্থর আইনজীবীও আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল কোনও ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এস বসু রায় সংস্থার সঙ্গেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন আইনজীবী। পার্থ ৭৩ বছর বয়স, তিনি অসুস্থ- এই সব যুক্তিও খাড়া করেন আইনজীবী। তিনি আর্জি জানান যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁর মক্কেলকে।