Patient Death: রোগী মৃত্যুতে উত্তেজনা ইসলামিয়া হাসপাতালে, পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর

Sourav Dutta | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 29, 2023 | 6:10 AM

Kolkata: পরিজনের দাবি, চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই এই হাসপাতালে। নেই পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

Patient Death: রোগী মৃত্যুতে উত্তেজনা ইসলামিয়া হাসপাতালে, পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর
নিহতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখান।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ইসলামিয়া হাসপাতালে। সোমবার হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজন-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। গিরি বাবু লেনের বাসিন্দা রুকসানা পরভীন (৪৬) গলব্লাডারের স্টোনের চিকিৎসার জন্য গত বুধবার ভর্তি হন এই হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হয়। রবিবার তাঁকে আইসিইউয়ে স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানেই সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন।

পরিজনের দাবি, চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই এই হাসপাতালে। নেই পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না তৈরি হ‌ওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক হাসপাতাল।

রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। হাসপাতালের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসি দীনেশ কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। নিহতের ছেলে মেহফুজ আলম বলেন, “চারদিন আগে মা ভর্তি হয়েছিল। গলব্লাডারের অপারেশন হয়। এরপরই মায়ের পেট ফুলতে শুরু করে। অন্য হাসপাতালে রিপোর্ট দেখানোর পর ওরা বলছে  অস্ত্রোপচারে ভুলের কারণে এই অবস্থা। অথচ যে ডাক্তার অপারেশন করেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করায় বলেন গ্যাসের কারণে পেট ফুলছে।”

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এর আগেও রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই হাসপাতাল। এখানে ন্যূনতম আধুনিক চিকিৎসা দিতে পারে না। অথচ রোগীকে স্থানান্তরিতও করতে চায় না বলে দাবি তাঁদের। তাঁরা বলছেন, আপাতত এখানে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে হাসপাতাল বন্ধ রাখা হোক। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Next Article