কলকাতা: ২০০৯ সালে পাশ করা প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা শুক্রবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyaan) ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশি বাধায় সেই নবান্ন অভিযান আর করা গেল না। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ২৬ দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মূল বক্তব্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগে পাশ করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের প্যানেল প্রকাশিত হয়নি। প্যানেল প্রকাশের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতেই এই অভিযানে ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেই কর্মসূচি আটকে দেয় পুলিশ প্রশাসন।
যদিও পুলিশের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের নিজেদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ই-মেল আইডি দেওয়া হয় হয় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। বলা হয়, তাঁদের বক্তব্যের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল মারফত জানানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শুক্রবার নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীর বক্তব্য, “আমরা চেয়েছিলাম সবাই মিলে যেতে। ১৩ বছর ধরে বঞ্চিত একটি প্যানেল।” সরকার বদলালেও তাঁদের ভাগ্য বদলায়নি, এমনই বক্তব্য তাঁদের।
এদিন নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনার কথা পুলিশের কাছে জানানো হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়া মেনেই করতে হবে। পুলিশের তরফে এদিন আন্দোলনকারীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ই-মেল আইডি দেওয়া হয় এবং সেখানে নিজেদের বক্তব্য জানানোর কথা বলা হয়। পুলিশের কাছে এই আশ্বাস পাওয়ার পর নবান্ন অভিযানের পথ থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
যদিও তাঁরা এও জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে তাঁদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কী হবে, তা সকলে মিলে বসে স্থির করা হবে। এতদিনে যে যে আবেদন জানানো হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায় সেই সব আবেদনের প্রতিলিপিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘ ১৩ বছরের হতাশার জ্বালা-যন্ত্রণা আজ ওদের চোখে মুখে।