কলকাতা: কালীঘাটের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির গলির সামনে থেকে অস্ত্র-সহ পাকড়াও হয়েছিল নূর আমিন নামে এক যুবক। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর শেষে গ্রেফতার করা হয় তাকে। শনিবার অভিযুক্ত ওই যুবককে আদালতে পেশ করা হবে। এদিকে লালবাজার সূত্র মারফত বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে ওই ব্যক্তির বিষয়ে। নূরের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল অস্ত্র ও গাঁজা ছিল বলে গতকালই জানা গিয়েছিল। কলকে ঠাসা গাঁজা ছিল নূরের কাছে। এছাড়া গাড়ির ভিতর থেকে মিলেছে, দুটি টুপি। একটিতে লেখা আইপিএস। অন্যটিতে লেখা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। রাজ্য পুলিশের একটি স্টিকারও পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে একটি কালো রঙের বেল্টও।
এছাড়া নূরের গাড়ি থেকে কিছু সচিত্র পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। সেটির মধ্যে একটিতে লেখা ডিজি, বিএসএফ (জি)। অন্য একটি পুলিশের পরিচয়পত্র। পুলিশের ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া যাওয়ার বিষয়টিও গতকালই প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে সেখানে আইডেন্টিটি কার্ড বানানে অবশ্য ভুল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নূরের মোবাইলের বিভিন্ন তথ্যই খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। সেখানেও পুলিশের পোশাক পরা ছবি পাওয়া গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে অস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টায় গ্রেফতার নূর আসলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা। তবে নূরের থেকে যে আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ঠিকানা লেখা আছে পশ্চিম মেদিনীপুরের আলিগঞ্জ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঠিকানা হল আসলে নূরের শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা। আনন্দপুরের মার্টিন পাড়ায় ইন্টেরিয়রের দোকানও রয়েছে নূরের।
অভিযুক্ত ওই যুবকের গাড়িতে এক মানবাধিকার সংগঠনের স্টিকারও সাঁটানো ছিল। তবে কেন ওই যুবক গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে পুলিশের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিল, সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আজ অভিযুক্ত ওই যুবককে আদালতে পেশ করা হবে। এদিকে গতকালের ঘটনা নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, ওই ঘটনার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও আইসি কালীঘাটকে সাসপেন্ড করা প্রয়োজন।