Panchayet Election: ‘২৪-এর মহারণের আগে শক্তিপরীক্ষার মঞ্চ, পঞ্চায়েতই ‘সেমিফাইনাল’

Bengal Politics: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে বড় নির্বাচন বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। সেদিক থেকে দেখলে পঞ্চায়েত ভোট শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের কাছে সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে।

Panchayet Election: '২৪-এর মহারণের আগে শক্তিপরীক্ষার মঞ্চ, পঞ্চায়েতই 'সেমিফাইনাল'
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2023 | 7:45 PM

কলকাতা: ২০২৩ সালে রাজ্যে সবথেকে বড় রাজনৈতিক যে ঘটনাগুলি আসন্ন, তার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023)। সাম্প্রতিককালে একের পর এক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে বেশ কোণঠাসা শাসক শিবির। সেদিক থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের জন্য অগ্নিপরীক্ষার সমান। জনসমর্থন যাচাই করে নেওয়ার পালা। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের জন্যও এবারের পঞ্চায়েত ভোট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গতবছরের বিধানসভা নির্বাচনে যে উল্কাগতির উত্থান বিজেপি দেখেছিল, পুরভোটে তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে বড় নির্বাচন বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। সেদিক থেকে দেখলে পঞ্চায়েত ভোট শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের কাছে সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে। বিজেপির সামনে এখন একের পর এক হাতে-গরম ইস্যু। ব্যালট বক্সে সেগুলির প্রভাব কতটা ফেলা যাবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে।

চ্যালেঞ্জই বটে। কারণ, বিজেপি যখন সভা-সমাবেশ করছে, তখন সেখানে ভিড় হচ্ছে ভালই। কিন্তু, সেই কর্মীরাই যখন বুথে ফিরে যাচ্ছেন, তখন অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি ব্যান্ডেলে বিজেপির এক দলীয় সভায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ভোট পরবর্তী হিংসার আতঙ্কের ছাপ এখনও দলের নীচু তলার কর্মীদের মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। পঞ্চায়েতে কিংবা লোকসভায় ভাল ফল করতে গেলে বুথস্তরে সংগঠনকে মজুবত করা ছাড়া যে কোনও বিকল্প নেই, সেই কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি কত আসন নিজেদের হাতে রাখবে, সেই পাটিগণিতও এখন থেকেই কষতে নিদান দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের বার্তা থেকেই স্পষ্ট, লোকসভার আগের এই সেমিফাইনাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ পদ্মশিবিরের কাছে।

এদিকে পিছিয়ে থাকছে না শাসক দল তৃণমূলও। প্রতিটি জেলা ধরে ধরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক করে দিচ্ছেন, ভোটের রণকৌশল। পঞ্চায়েত ভোটের নীল নকশা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন ঘাসফুলের সৈন্য-সামন্তরাও। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ জনসংযোগে। পঞ্চায়েতের ডঙ্কা বাজিয়ে তৃণমূল শুরু করে দিয়েছে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম চর্চার কেন্দ্রবিন্দু পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। সেই পূর্ব মেদিনীপুরে দলের অন্দরে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনিও গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

পিছিয়ে নেই বামেরাও। বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া বামেদের সাম্প্রতিক কিছু সমাবেশে যে পরিমাণ ভিড় টেনেছে, তা নজর কেড়েছে তৃণমূল-বিজেপিরও। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে যেমন শুভেন্দু অধিকারী বামেদেরও সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। আবার বাম ছাত্র-যুবদের ইনসাফ সভার ভিড় দেখে কুণাল ঘোষ বলেই ফেলেছিলেন, ২০১১ সালের পর ওটিই নাকি ছিল বামেদের বৃহত্তম সভা। বামেদের সভা-সমাবেশে ভিড় যথেষ্ট হচ্ছে। এখন দেখার এই ভিড়ের কোনও প্রতিফলন পঞ্চায়েতের ব্যালটে কতটা ফেলতে পারে বামেরা।