কলকাতা: পেঁয়াজের দামে আগুন। দাম বেড়েছে দ্বিগুনের বেশি। মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। এত দাম যে তা ভাবতেই পারেননি সোদপুরের সিদ্ধার্থ বিশ্বাস। সকালে খবর কাগজটা পড়ার পর চিন্তিত মুখেই গিয়েছিলেন বাজারে। কিন্তু, চিকেনের স্টলে দাঁড়িয়ে মুখে ফুটল হাসি। ঝুলছে বোর্ড। তাতেই দেখা গেল প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। খুশি হয়ে একেবারে ২ কেজি চিকেন কিনে ফিরলেন ঘরে। শুধু সোদপুরের পার্থপুর বাজার নয়, গোটা বাংলাতেই রবিবার ছুটির সকালে চিকেনের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল। বর্ধমানে গোটা মুরগি বিকোচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কিলো দরে, কাটা ১২০ থেকে ১৩০।
একই ছবি হুগলিতেও। মোটের উপর সব দোকানেই কাটা মুরগির দাম ১৫০ টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকেই চিকেনের দামটা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। বিগত কয়েকদিন চিকেনের কেজি প্রতি দাম ঘোরাফেরা করছিল ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার ঘরে। কিছুদিন আগেও যা ছিল আড়াইশো টাকার উপরে। মানিকতলা বাজারে এদিন চিকেন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। মুরগির চাষ এবার বেশি হয়েছে। তাই বেড়েছে জোগান। তাই কমেছে দাম এমনটাই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
ছুটির দিনে কম দামে চিকেন পেয়ে হাসি চওড়া হয়েছে আম-আদমিরও। এদিকে ডিসেম্বর পড়তে না পড়তেই বনভোজনের পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে শীতপ্রেমী বাঙালি। সেখানে ডিসেম্বরের শেষবেলা পর্যন্ত এই দাম থাকলে তো সোনায় সোহাগা! বলছেন সোদপুরের অন্বেষা বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “একেবারে এত কমদামে চিকেন ভাবতেই পারিনি। শেষ করোনাকালে এতটা দাম কমেছিল। আজ তো জমিয়ে খাব। তবে পেঁয়াজের দামটা একটু কমলে ভাল হত।”
তবে অন্যবার এই সময় যেখানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকার ঘরে ঘোরাফেরা করে এবার তা একেবারে সেঞ্চুরি করার পথে। রবিবার সকালে কলকাতার বাজারগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিলো দরে। কোলে মার্কেটের পাইকারি বাজারে দামটা ৬৫ টাকার কাছাকাছি। নিম্নচাপের প্রভাবে অকাল বৃষ্টিতেই পেঁয়াজের এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি। দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে নতুন বছর পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।