কলকাতা: দীর্ঘ কয়েক বছরের আন্দোলন, মামলা, দুর্নীতি-বিতর্কের পর সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে প্রাথমিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫। টেট উত্তীর্ণ হলে ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হলেই সেই পদের জন্য আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু, এই শূন্যপদ নিয়েই বিস্ফোরক দাবি চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি, আদতে নাকি শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫ নয়। আসলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।
TV9 বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে দুই টেট উত্তীর্ণ দুই চাকরি প্রার্থী পিয়ালি সামন্ত ও কাকলি জানা দাবি করেছেন, আসলে শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫ নয়। হিসেব দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, আসলে শূন্যপদের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৮৫। জেনারেল, এসসি (তফশিলি জাতি) ও এসটি (তফশিলি উপজাতি)- দের জন্য এই সংখ্যক পদই নির্দিষ্ট করা আছে। আর বাকি শূন্যপদ রয়েছে এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির জন্য। কাকলি জানার প্রশ্ন, এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির মধ্যে তাঁরা পড়েন, যাঁরা জমি দান করেছেন। রাজ্যে কি এত লোক জমি দান করেছেন? তাঁদের কথায়, ১১ হাজার ৭৬৫ সংখ্যাটা আসলে কুমীরের ছানার গল্পের মতো।
শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। আর তারপরই এই প্রশ্ন তুললেন প্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রয়েছে অনেক বিভ্রান্তি। চাকরি প্রার্থী পিয়ালি সামন্ত জানান, আগে বলা হয়েছিল বিএড পাশ করা থাকলে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হবে, যদি সুপ্রিম কোর্ট মান্য়তা দেয়। কিন্তু নোটিসে তার উল্লেখ নেই। তিনি আরও জানান, এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির শূন্যপদ পূরণ না হলে, নিয়ম হল, অন্য়ান্য প্রার্থীদের সেই শূন্যপদ দেওয়া। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত আসন পড়ে থাকলে, তা ওই ক্যাটাগরিকেই দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের পুনরায় আবেদনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও আপত্তি আছে প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি, এই পথেই যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা আবার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তাই, পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও, তা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন চাকরি প্রার্থীরা।