কলকাতা : সকাল থেকেই বের হচ্ছিল তীব্র দুর্গন্ধ। কিন্তু, কোথা থেকে আসছিল তা প্রথমে বুঝতে পারেননি হরিদেবপুর (Haridebpur) থানার সুকান্ত সরণীর বাসিন্দারা। এই এলাকাতেই থাকতেন ক্যামেলিয়া কলেজের এক অধ্যাপক। তাঁর ঘরের সামনে যেতেই বাড়তে থাকে দুর্গন্ধর মাত্রা। তাঁর ঘর ভাঙতেই চক্ষু-চড়কগাছ সকলের। দেখা গেল ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে ওই অধ্যাপকের পচা গল দেহ। তবে দুর্গন্ধ পাওয়া মাত্রই পুলিশে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশই এসে ভেঙে ফেলে দরজা। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় বিছানার মধ্যে পড়ে রয়েছে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (৭৮) নামে ওই ব্য়ক্তির পচাগলা দেহ।
সূত্রের খবর, সুকান্ত সরণীর যে আবাসন থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই অধ্যাপক। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে নয়, একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবাসনে থাকা অন্যান্য পরিবারগুলিকে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সীমা দাস বলেন, “সকাল থেকে খুব দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তখনই পুলিশে খবর যায়। তারপরই আমরা আসল ঘটনার কথা জানতে পারি। আমরা ওনাকে দেখেছি আগে। কিন্তু, ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় নেই। বয়স ওনার বাহাত্তরের আশেপাশে। বাড়িতে উনি একাই থাকতেন। কোথা থেকে কী করে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে খুব বেশি বাড়ির বাইরে থাকতেন না। নীচে দোকানে আসতেন মাঝেমাঝে। আবার উপরে উঠে যেতেন।”