কলকাতা: ‘থ্রেট কালচারে’ এবার নাম জড়াল আরজি করের ১৩ জন চিকিৎসকের। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কথামতো ভয়ের পরিবেশ তৈরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ‘থ্রেট কলচার’ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির শুনানিতে চিকিৎসকদের বয়ানে অভিযুক্ত ১৩ জন সিনিয়র চিকিৎসক।
তালিকার শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন ডিন বুলবুল মুখোপাধ্যায়, প্যাথোলজির প্রফেসর অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় রয়েছে সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় থাকা অপূর্ব বিশ্বাস, দেবাশিস সোমও। তিলোত্তমার খুনের ময়নাতদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যে যে দুই চিকিৎসক গোয়েন্দাদের নেকনজরে রয়েছেন।
‘উত্তরবঙ্গ লবি’ ঘনিষ্ঠ শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক দীপাঞ্জন হালদার, গোবিন্দ চন্দ্র দাসের নামও তালিকায় রয়েছে। অভিযুক্ত ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কমিটির মতামত জানতে চেয়ে চিঠি করেছেন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে থ্রেট কালচার নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক অর্চিস্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি অভিযোগেরও সত্যতা থাকলে, সেটা অত্যন্ত গুরুতর।” রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিস্থিতি বলতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তাঁকে তাঁর বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছেন! আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তিনি পেপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান।”