R G Kar Hospital: কোটি কোটি টাকার কমিশনের ভিত্তিতে দেদার দুর্নীতি! কাঠগড়ায় RG করের অধ্যক্ষ

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 18, 2023 | 5:00 PM

R G Kar Hospital: অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত। সেইসময় কার্যত তাঁকে দৌড়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে যেতে দেখা যায়। কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।

R G Kar Hospital: কোটি কোটি টাকার কমিশনের ভিত্তিতে দেদার দুর্নীতি! কাঠগড়ায় RG করের অধ্যক্ষ
ইনসেটে অভিযোগকারী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: গত দু বছরে আরজি করে স্বাস্থ্য পরিষেবার নানা স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারবারিদের ও লজ্জায় ফেলে দেবে। TV9 নাইনের হাতে থাকা নথি অন্তত সে কথাই বলছে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সরঞ্জাম, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ, হাসপাতালের পরিকাঠামো, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টিফিনের বরাত–কোথায় হয়নি দুর্নীতি! সব কিছু থেকে কমিশন প্রথায় কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আরজি করের প্রাক্তন নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলির বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্র।

কী অভিযোগ?
ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে UG স্কুল ল্যাব নির্মাণে খরচ ৬০ লক্ষ টাকা। সেটাই আরজি করে খরচের পরিকল্পনা ২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, মধ্য়রাতে সাফাই কাজে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। হাসপাতালের সব কাজেই ৩ সংস্থাকে ১৫-২০ শতাংশ কমিশনে বরাত দেওয়ার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় প্রকল্প NELS ল্যাবের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি VRDL ল্যাবের সামগ্রী কেনাতেও গরমিল করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার হাই ফ্লো ন্য়াজাল ক্যানুলা সাড়ে চার লক্ষ টাকা দরে কেনার অভিযোগ রয়েছে।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন কিনেছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। উনি পেপার টেন্ডারের মাধ্যমে ন্যাশনাল থেকে কয়েকজন ভেন্ডারকে এনে এক একটা সাড়ে চার লক্ষ টাকায় কিনেছিলেন।” অর্থাৎ ২০ শতাংশ কমিশন। তিনি আরও জানান, আরজি করে সেটা ই টেন্ডার হয়ে রেট পড়ে যায় ২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। সব কিছুতেই সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ, আফসার খানরাই টেন্ডার পেত। অন্য কোনও ভেন্ডারকে উনি পাত্তাই দিতেন না। যেহেতু প্রথমেই বলে ফেলতেন ২০ শতাংশ দিতে হবে, ভেন্ডাররা পালিয়ে যেতেন।”

অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত। TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে দেখে কার্যত তাঁকে দৌড়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে যেতে দেখা যায়। কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। কেন তিনি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে চাইছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

গত জুনেই আরজি করে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করে খবর করেছিল টিভি নাইন বাংলা। এরপর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি নির্দেশিকা জারি হলেও দু’দিনের মধ্যে তা স্থগিত হয়ে যায়। আখতার আলির দাবি, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দিস্তা দিস্তা নথি স্বাস্থ্য ভবনে দাখিল করেও লাভ হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, কমিশন প্রথায় রাঘববোয়ালদের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলেই কি অধ্যক্ষের বদলি নির্দেশিকা জারি হয়েও তা স্থগিত হয়ে যায়?

Next Article