R G Kar: কেবল লেখা দুটো শব্দবন্ধ! তাতেই রহস্য! তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধুও আওয়াজ তোলেন, সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে প্রসঙ্গ, সামনে সেই রাতের এক চিঠি

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 10, 2024 | 4:15 PM

R G Kar: ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকার চার নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট বলা রয়েছে, ধর্ষণ খুনের ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা যাবে না। যদি না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়। সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে।

R G Kar: কেবল লেখা দুটো শব্দবন্ধ! তাতেই রহস্য! তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধুও আওয়াজ তোলেন, সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে প্রসঙ্গ, সামনে সেই রাতের এক চিঠি
কী লেখা চিঠিতে?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: তিলোত্তমার ময়ানতদন্ত নিয়ে সোমবারের শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেই। তিলোত্তমার ময়নাতদন্ত নিয়ে কি তাড়াহুড়ো করেছিল পুলিশ? প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা পুলিশেরই একটি চিঠি। নিয়ম না মেনেই ময়নাতদন্ত হয়েছিল? বিকাল চারটে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর তিলোত্তমার ময়নাতদন্ত করতে চেয়ে আরজি করের ফরেনসিক বিভাগকে সরাসরি চিঠি দেয় টালা থানার এক সাব ইন্সপেক্টর।

চিঠিতে কী বলা হয়েছিল?

জরুরি বিষয়, ‘স্পেশ্যাল ইস্যু’। কিন্তু কী সেই স্পেশ্যাল ইস্যু, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, বিকাল চারটের পর ময়নাতদন্ত করতে হলে এসপি পদমর্যাদার পুলিশকে অনুরোধ করতে হবে। হাসপাতালের সুপার কিংবা প্রিন্সিপ্যালকে সেই অনুরোধে শীলমোহর দিতে হবে।

এই খবরটিও পড়ুন

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন সাব ইন্সপেক্টর চিঠি লিখলেন? প্রিন্সিপ্যাল কিংবা সুপারকে এড়িয়ে কেন সরাসরি ফরেনসিক বিভাগকে চিঠি? সাব ইন্সপেক্টরের চিঠি পেয়ে কেন ময়নাতদন্তে রাজি হল ফরেনসিক বিভাগ? প্রসঙ্গত, এই খামতির অভিযোগই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান। কিন্তু তা দেখাতে পারেনি রাজ্য। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এখন নতুন করে এই চিঠি সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকার চার নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট বলা রয়েছে, ধর্ষণ খুনের ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা যাবে না। যদি না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়। সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে। কিন্তু তিলোত্তমার ক্ষেত্রে তা মানাই হয়নি। দেখা যাচ্ছে, সাব ইন্সপেক্টর ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখছেন। ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়েছেন। আর ফরেনসিক বিভাগের বিভাগের প্রধানই হলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য। তিনি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ ওঠে।

ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে নিয়ম যে মানা হয়নি, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক।  তিনি বলেন, “আমার যতটুকু জ্ঞান তাতে, অন্ধকার হয়ে গেলে কালার চেঞ্জগুলো বোঝা যায় না। শরীরে বিষ থাকলে, যদি শরীরের বিশেষ অংশের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা ধরা যায় না। তাই সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা হয় না।” সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়টি মামলাকারীর আইনজীবীর হাতে যথেষ্ট সাক্ষ্য, বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরাই।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article