কলকাতা: হঠাৎ কলকাতায় এসে হোটেলে থাকলেন কেন রাজারাম রেগে? কেনই বা তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন? এই নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য। সোমবার আদালতে রাজারামের জামিনের আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত ফের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার পুলিশ হেফাজত শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছিল রাজারামকে।
তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, গত ১৯ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল অভিষেকের আপ্ত-সহায়ককে ফোন করেছিলেন এই রাজারাম রেগে। ফোনে বলেছিলেন, ‘মুম্বই থেকে এসেছি, দেখা করতে চাই।’নিজের ফোন নম্বর থেকেই নাকি একবার ফোন করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। কোথা থেকে অভিষেক বা তাঁর আপ্ত-সহায়কের নম্বর পেলেন অভিযুক্ত তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এদিন আদালতে ধৃতের আইনজীবী দাবি করেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে রাজারাম একটি মেসেজ করেছিলেন। ধৃতের আইনজীবীর আরও দাবি করেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নিজে থেকে কোনও অভিযোগ করেননি। আদালতে জানানো হয় যে রাজারামের মুম্বইতে কনস্ট্রাকশনের ব্যাবসা আছে ও পরিবারের সঙ্গেই থাকেন তিনি। কেন তাঁকে ‘জঙ্গি’ বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলছেন রাজারাম।
অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবীর দাবি, বেশ কিছু তথ্য আরও উঠে এসেছে। রাজারাম রেগে ব্যাবসায়ী হলে কলকাতায় এসে কেন নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির তথ্য নিচ্ছেন? কেন ছবি তোলা হল ও মুছে দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। ছবি কারও কাছে পৌঁছে গিয়েছে কি না, তার তদন্তের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও ছত্তিসগঢ়ে গিয়েছিলেন কলকাতায় আসার আগে। সেই কারণ জানার জন্য কলকাতা পুলিশ মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে সূত্রের খবর।