AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangla Dibas: ‘বাংলা দিবস’ কোন দিন? নির্ধারণ করতে বিধানসভায় দেখা গেল মমতা-শুভেন্দুর ‘ডুয়েল’

Suvendu Adhikari: এদিন অধিবেশন কক্ষেই শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এ নিয়ে রাজভবনেও যাচ্ছেন তাঁরা। এই প্রস্তাব পাশ হলেও রাজ্যপাল যাতে না সই করেন তার দাবি জানাবেন বলেন। এরপরই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজভবনের পথে যেতে দেখা যায় পরিষদীয় দলকে।

Bangla Dibas: ‘বাংলা দিবস’ কোন দিন? নির্ধারণ করতে বিধানসভায় দেখা গেল মমতা-শুভেন্দুর ‘ডুয়েল’
বিধানসভা অধিবেশনে জোর তরজা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 4:49 PM

কলকাতা: ১ বৈশাখই ‘বাংলা দিবস’। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এ প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭ টি। বিপক্ষে ৬২টি। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ এবার থেকে বাংলার সঙ্গীত। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরই প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে রাজভবনের পথে এগিয়ে চলেন বিজেপির পরিষদীয় দল। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাংলা দিবস হিসাবে ১ বৈশাখ দিনটিকে প্রস্তাব করা হয় সরকার পক্ষের তরফে। এর তীব্র বিরোধিতা করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এই অধিবেশন চলাকালীন।

বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০ জুনকে তারা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর মর্যাদা দেবে। ১ বৈশাখকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু বলেন, “ইতিহাসকে কোনওভাবে বদলে ফেলা যায় না। রাকেশ রোশন যেমন চাঁদে যাননি, ইন্দিরা গান্ধীও চাঁদে যাননি। কাজি নজরুল ইসলাম মহাভারত লেখেননি। রবি ঠাকুর ৪১ সালে মারা গিয়েছেন। ৪৭-এ মারা যাননি। তাই এই ইতিহাসগুলি যেমন বদলানো যায় না। এটাও বদলাতে পারবেন না। ২০ জুন সব রাজভবনে, সব রাজ্যে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে লিখব যাতে জাতীয় স্তরে বাঙালি হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য এই ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে ভারত সরকার পালন করে।”

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০ জুনকে ‘বিধ্বংসী দিন’ বলে এদিন কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ” বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ১ বৈশাখ রাজ্যপালকে সই করতে দেবেন না। রাজ্যপাল সই না করলেও তাতে আমাদের যায় আসে না। আমরা এটাকে পালন করব। দেখব কার শক্তি বেশি। জনগণের নাকি রাজ্যপালের শক্তি বেশি?”

এদিন শুভেন্দু বলেন, বঙ্গ নামের স্বীকৃতি ভারত সরকার দেয়নি। এই প্রস্তাবের পরিণতিও তেমনই হবে। বিএসএফের বিরুদ্ধে নেওয়া রেজোলিউশনের মতো, ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া রেজোলিউশনের মতোই পরিনাম হবে এই প্রস্তাবের।

নিজের বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন শুভেন্দুর বঙ্গ-প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা বাংলার কথা বলেছিলাম। তার পিছনে অনেক কারণ আছে। বাংলার নামটা একেবারে শেষে বলা হয় যেহেতু West Bengal। আমরা বাংলা শুধু বলতে পারি না কেন? বাংলাদেশ আলাদা, আর বাংলা রাজ্য আলাদা, সেটা করা যেতে পারে। আজ আপনারা ক্ষমতায় আছেন তাই করলেন না। কাল যখন ক্ষমতা থেকে উল্টোবেন তখন আমরা এটাকে করে দেবো।”