RG Kar: যোনি অংশে পাওয়া তরল পদার্থ, একাধিক কামড়ের দাগ, নখের আঁচড়… TV9 বাংলার হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 21, 2024 | 10:52 AM

RG Kar Postmortem Report: তিলোত্তমার মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। সেই রাতে সেমিনার হলে ঠিক কী হয়েছিল, একজন ছিল? নাকি অনেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।

RG Kar: যোনি অংশে পাওয়া তরল পদার্থ, একাধিক কামড়ের দাগ, নখের আঁচড়… TV9 বাংলার হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
উঠছে একাধিক প্রশ্ন

Follow Us

কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর প্রায় ১০ দিন কেটে গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই মৃত্যু একের পর এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। রাজ্য ছাড়িয়ে, দেশের গণ্ডী পার করে চলছে প্রতিবাদ। প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার পিছনে আর কি কারও হাত ছিল না?

এবার TV9-এর হাতে এল ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। কীভাবে মৃত্যু হয় তিলোত্তমার? কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁর দেহ, তার উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।

তিলোত্তমার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন আছে, তা আগেই প্রকাশ্যে আসে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরে মোট ২৫টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেঙেছে তিলোত্তমার তরুণাস্থি। তাঁর গলার হাড় ভাঙা। অর্থাৎ থাইরয়েড কার্টিলেজ, হাইওয়েড বোন ভাঙা ছিল। হাড়েও ছিল রক্তপাতের চিহ্ন।

মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আরও মত, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আঘাত করা হয়েছে। শুধু গলা টিপে ধরাই নয়, মুখ‌ও চেপে ধরার সম্ভাবনা থাকতে পারে। (manual strangulation associated with smothering)।

ময়নাতদন্তের যা রিপোর্ট তাতে মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলছে। এছাড়া, নির্যাতিতার সারা দেহে একাধিক নখের আঁচড়, কামড়ের চিহ্নও পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তরুণীর যৌনাঙ্গে জোর করে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ মিলেছে, যা যৌন নিপীড়নের ইঙ্গিতবাহী।’

তবে যাঁকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনিই সত্যিকারের অভিযুক্ত কি না, তা জানার জন্য বেশ কিছু ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গোপনাঙ্গে পাওয়া তরল পদার্থ, কামড়ের ক্ষত থেকে পাওয়া লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলে অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Next Article