কলকাতা: আরজি কর মামলায় বারবার প্রশ্ন উঠেছে, কেন তিলোত্তমার পরিবারকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল? রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেও চিকিৎসকরা কি বুঝতে পারেননি যে তাঁকে খুন ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে? সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছিল সেই প্রশ্ন। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে সে দিন কে ফোন করেছিলেন, সেই তথ্য এল TV9 বাংলার হাতে।
৯ অগস্ট ঘটনাক্রমের বয়ান ঘিরে প্রশ্ন রয়েছে একাধিক। সেদিন নন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের মুখে ‘সুইসাইড’ কথাটা শুনে নাকি চটে গিয়েছিলেন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরা। বিভাগীয় চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সুইসাইড’ কেন বলা হল?
তিলোত্তমার ইউনিট হেড সুমিত রায় তপাদারও সিবিআই-কে জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে ৯ অগস্ট সকাল ১০টার পর নন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা সরকার চেস্ট মেডিসিন বিভাগে পৌঁছন। বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী তাঁকে বলেন তিলোত্তমার পরিবারকে খবর দিতে।
দু’বার তিলোত্তমার বাবাকে ফোন করেন সুচরিতা সরকার। দ্বিতীয় বার ফোনে তিলোত্তমার বাবাকে সুচরিতা বলেন, ‘আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে।’ এ কথা শুনেই সুচরিতার কাছে কৈফিয়ৎ চান বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। চেস্ট মেডিসিনের অন্য চিকিৎসকরাও একই প্রশ্ন করেন। কেন আত্মহত্যার কথা বললেন সুচরিতা? সে দিন নাকি কোনও উত্তরই দেননি তিনি।
নন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সে দিন কার নির্দেশে বাবা’কে ‘সুইসাইড’-এর কথা বললেন, সেই প্রশ্নের উত্তর নেই। সুচরিতা সরকারের কোনও বয়ান নথি তালিকায় নেই। কেন সুচরিতার বয়ান নথি তালিকায় নেই? এই প্রশ্নে সরব সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকরা।