কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অধ্যক্ষ পদ বাতিল হওয়ার পর স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি আপাতত কোনও পদে নেই। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে কী অবস্থান নেয়, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, আপাতত ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’ বা ইওএল-এ আছে। কী এই ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’? কেন এমন একটি ছুটি পেলেন সন্দীপ ঘোষ?
কী বলছে স্বাস্থ্য ভবন?
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়েছে শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, লম্বা ছুটিতে পাঠানো হোক সন্দীপ ঘোষকে। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
কী এই ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’ (EOL)?
সার্ভিস রুল অনুযায়ী, যখন আর কোনও সাধারণ ছুটি থাকে না, তখনই একজন সরকারি কর্মীকে ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’ দেওয়া হয়। পাঁচ বছর পর্যন্ত এই ছুটির মেয়াদ বর্ধিত হতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে পাওয়া যায় এই ছুটি?
প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য বা চিকিৎসার জন্য দীর্ঘতর ছুটি নিতে হয়। অর্থাৎ দুই বা তিন বছরের ছুটি নিতে হয়, তাহলে এই ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’ নিতে হয় কর্মীকে। তিনি আরও জানিয়েছেন সরকারি চাকরির কোনও না কোনও পদে থেকে এই ছুটির জন্য আবেদন করতে হয়। এছাড়া সরকার নিজেই এই ছুটি দিতে পারে না বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্তা। তিনি জানান, সরকারি কর্মীকে আবেদন করতে হবে, তবেই এই ছুটি পাওয়া যায়।
এই ছুটি পাওয়ার প্রক্রিয়াটা কী?
আর এক প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকলে ফিরে আসার পর এই ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’-এর জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর ফাইল তৈরি করা হয়, তারপর তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হওয়ার পর পাওয়া যায় সেই ছুটি।
এই ছুটিতে কি বেতন পাওয়া যায়?
সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ’ সবসময়েই ‘উইদাউট পে’ অর্থাৎ বিনা বেতনের ছুটি।