কলকাতা: সাড়ে পাঁচ মাস আগে, গত ৯ অগস্টের একটি ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা কলকাতা শহর। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে হাসপাতালের ভিতরেই ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। উদ্ধার হয় আরজি করের এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সেই ঘটনা সামনে আসার পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্য তথা গোটা দেশে। কলকাতা শহর থেকে আঁচ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নামেন দিল্লি এইমস-এর চিকিৎসকরাও। আজ সেই ঘটনার রায়দান হল। আর সেই রায় দিতে গিয়ে বিচারক জানালেন, অভিযোগগুলি বিরল নয়।
গত শনিবার মোট তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ঘটনার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে। ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই তিন ধারার মধ্যে সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। সোমবার সেই মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে এই তিনটি ধারা দেওয়া হলেও,তা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ বলে মনে হয়নি।
আরজি কর কাণ্ডে যাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন, সেই চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলেছেন, এমন একটি ঘটনা কেন বিরল নয়। উল্লেখ্য, ৯ অগস্টের ঘটনা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে সুপ্রিম কোর্ট। একের পর এক মামলা হয়। এই ঘটনার জেরেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি হয় টাস্ক ফোর্স। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি একের পর এক পর্যবেক্ষণ দেন। গোটা দেশের এমনকী এইমস-এর পরিকাঠামোতে বদল আনা হয় এই ঘটনার পর। সেই ঘটনাকেই ‘বিরল নয়’ বলে উল্লেখ করল আদালত।