কলকাতা: সোমবার আরজি কর মামলার সাজা শোনাল শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা আদালত। আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে, অনায়াদায়ে হবে আরও ৫ মাসের জেল। একইসঙ্গে পরিবারকে ১০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ ও কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে।
এ কথা শুনেই তিলোত্তমার বাবা-মা বলে ওঠেন, ‘ক্ষতিপূরণ চাই না।’ এরপর বিচারক বলেন, “আমি মনে করি না, যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, তাতে ক্ষতিপূরণ হয়। আপনাকে টাকা দিয়ে মেটাচ্ছি, মনে করবেন না। কিন্তু এটা রাজ্যের দায়িত্ব নিরাপিত্তা দেওয়া। এটা ফাইন করা হয়েছে।”
এদিন রায় ঘোষণার আগেই বিচারক তিলোত্তমার বাবা-মা’কে হাত জড় করে বসতে বলেছিলেন। তারপর সব পক্ষ তাদের শেষ বক্তব্য পেশ করে আদালতে। পরে রায় ঘোষণার পর বিচারক তাঁদের উদ্দেশে বলেন, “যা মনে হয়েছে বিচার করেছি।”
বারবার ফাঁস চেয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁর মা বলেছিলেন, “এমন মানুষের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।” তবে এদিন মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়নি আদালত। বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। সেই রায় শোনার পর আদালতেই কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। লড়াই এখনও অনেক বাকি, এ কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায় উপস্থিত আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের।