কলকাতা: আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা হল সঞ্জয় রাইয়ের। কিন্তু সঞ্জয়ের একার শাস্তি চান না অনেকেই। আইনজীবীদের পাশাপাশি সেই সওয়াল করছেন সাধারণ মানুষের একাংশ। সোমবার এজলাস বসার পরই ফাস্ট জজ অনির্বাণ দাস প্রথমেই সঞ্জয় রাইকে প্রশ্ন করেন এই শাস্তির বিষয়ে আপনার কি বক্তব্য? বিচারক সঞ্জয়ের কাছে জানতে চান, “বাড়িতে কে কে আছেন?” সঞ্জয় জানান, ‘মা আছেন…’, বিচারক আবার দানতে জানতে, মায়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছিল কিনা? সঞ্জয় জানায় ‘না’! আজ যখন ছেলের এই দিন, সর্বোচ্চ সাজা পেতে পারে সে, তখন সঞ্জয়ের মা কী করছিলেন? TV9 বাংলা নিল খোঁজ।
সরু ঘিঞ্জি স্যাতস্যাতে গলির মধ্যে সঞ্জয়ের বাড়ি। কিছুটা দূরেই এক দিদির বাড়ি… সঞ্জয়ের মা ঘরের এক কোণে অন্ধকারে বসেছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হল। এক অদ্ভুত বাক্যিহারা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা কী বলবেন? প্রশ্ন করা হলে, তাঁর মাথা নীচু। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হয়। ফাঁসি নয়, সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন সাজা দেন ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাস। সাংবাদিকের মুখেই সেকথা শুনলেন তিনি।
তবুও কিছু বললেন না তিনি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। যতই হোক গর্ভধারিনী বলে কথা! খিল এঁটে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতরেই ছিলেন সঞ্জয়ের মা।