Sacked Teacher: ‘নিজেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা যে বলছে, সে কীভাবে সরকারি সম্পত্তি জ্বালাবে?’, পুলিশের বক্তব্যে পাল্টা প্রশ্ন চাকরিহারা মেহবুবের
Sacked Teacher: "সেই ছেলেটি রোজ রাতে লাইভ করে, বলে আমার থাকার জায়গা নেই আমার তিন বছরের বাচ্চা, এই বাচ্চার কী হবে, সেই পরিস্থিতিতে ও বারবার বলছিল, আমাকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দাও। নিজেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা যে বলছে, তার সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার কোনও ইনটেনশন নেই।"

কলকাতা: যাঁরা নিজেদেরকেই জ্বালিয়ে শেষ করে দেওয়ার কথা বলছেন, তাঁরা কীভাবে সরকারি সম্পত্তি জ্বালানোর কথা ভাববেন! সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের পাল্টা বললেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধি মেহবুব মণ্ডল।
কসবায় ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের ওপর লাঠিচার্জ-লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে একাধিক প্রতিবাদ ওঠে। শুক্রবার তা নিয়ে মুখ খোলে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার ও সিপি মনোজ বর্মা। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়, চাকরিহারাদের তরফ থেকে প্রথম হামলা চলেছিল। বিস্ফোরক দাবি করে রূপেশ আরও বলেন, “ওখানে কিছু লোক তো পরিষ্কারভাবে ভেঙে দেওয়া, পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ তখনও ওদের শান্তিপূর্ণভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত ‘মিনিমাম ফোর্স’ প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।”
সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক থেকে প্রশ্ন করা হয় চাকরিহারাদের প্রতিনিধি মেহবুব মণ্ডলকে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটময়। লাথি ইনটেনশন্যালি মারা হচ্ছে, সেরকম কিছু নয়। যে ছেলেটি বলছে, সে এমনিতেই উত্ত্যক্ত। সেই ছেলেটি রোজ রাতে লাইভ করে, বলে আমার থাকার জায়গা নেই আমার তিন বছরের বাচ্চা, এই বাচ্চার কী হবে, সেই পরিস্থিতিতে ও বারবার বলছিল, আমাকে পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দাও। নিজেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা যে বলছে, তার সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার কোনও ইনটেনশন নেই। চাকরি চলে গিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কি কোনও সরকারি সম্পত্তিতে শিক্ষকরা হাত দিয়েছেন? আমরা অত্যন্ত সংযত হয়েই রয়েছেন। মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়ার পরও যদি এই ধরনের অভিযোগ আসে, তাহলে আমরাই ভেঙে পড়ছি।”
চাকরিহারাদের ভিড়ে বহিরাগতরাও মিশে ছিলেন বলে দাবি করেন সিপি। তার প্রেক্ষিতে মেহবুব বলেন, “এটা কখনই ঠিক নয় যে, বহিরাগতরা গিয়ে করেছে। আমরা সকলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাই ছিলাম। সবাই আমাদের লোকজন ছিল।”

