কলকাতা: সালটা ২০২১। তৃণমূল-বিজেপির বচসা ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে পরিস্থিতি মুচিপাড়া। সেই সময় লাথি মেরে দরজা ভেঙে সজল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার তিনবছর পর আবারও একই ঘটনা পুনরায় ঘটল। বাড়ি থেকে আটক করা হল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে।
কেন আটক?
আজ বনধ ডেকেছে বিজেপি। সেই কারণে, সকালে স্থানীয় কিছু দোকান খোলা দেখে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ তা বন্ধের আর্জি জানান। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের স্থানীয় বলে পরিচয় দিলেও বিজেপির দাবি তাঁরা তৃণমূল। তাঁরাই এসে দোকানপাট বন্ধের বিরোধিতা করেন। এরপরই সজল ঘোষের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় দু’পক্ষের। এরপর সজল চলে যান বাড়িতে। বিশাল পুলিশ ঘিরে রাখে বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়ি। পাল্টা আবার তার বাড়ির গেট পাহারা দেন মহিলারা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও চলে আসেন এলাকায়।
আজ সজল ঘোষ পরিদর্শনে বেরিয়ে দেখা যায় দোকানদারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘দাদা আজ বন্ধ’ আরও একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘বাকিদিন গুলো ভাল কাটাতে গেলে একটা দিন কষ্ট করতে হবে।’ এরপর এক মিষ্টির দোকানে ঢুকে বলেন, ‘এই লড়াই আমার একার নয়। এই লড়াই সবার।’ এই সময় হঠাৎ করেই দেখা যায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক এসে প্রশ্ন করেন, ‘বনধ কীসের?’, ‘কোনও বনধ হবে না’
তারপরই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সজলের সামনেই তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষই জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতিতে। দেখা যায় একদল লোক জোর করে দোকান খোলার চেষ্টা করে। তৃণমূলের লোজন পতাকা হাতে চলে আসে এলাকায়। চলে ধাক্কাধাক্কি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নামতে হয় পুলিশকে। এলাকায় পৌঁছয় বিজেপি নেতা তাপস রায়। সজলের স্ত্রী যদিও বলেছেন, ‘কোন অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলতে পারেনি।’