কলকাতা: সাজ্জাককে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে? এমনই সন্দেহ করছে মানবাধিকার সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)। ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে পলাতক বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলমের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছেন এপিডিআর-র সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেরও দাবি করছেন। প্রসঙ্গত, গোখালপোখরে পুলিশের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে।
‘ওরা একটা গুলি চালালে আমরা চারটে গুলি করব’, কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গ থেকে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সাজ্জকের মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ২ লাখ। তাঁর খোঁজে পোস্টারও দিয়েছিল পুলিশ। এরইমধ্যে শনিবার সকালে এল খবর। সূত্রের খবর, গোয়ালপোখরের কিচকটোলা এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে পালাচ্ছিল সাজ্জাক। কিন্তু পুলিশি অভিযানে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়। পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। কিছু সময়ের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সে। সূত্রের খবর, সাজ্জাকও পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। কয়েকদিন ধরেই পালানোর ছক কষছিল। আর এদিন পালাতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
যদিও গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে এরিডিআর। বিবৃতিতে তাঁরা লিখছেন, “সাজ্জাদকে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে এ কথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। বিশেষত গত পরশু ডিজি রাজীব কুমারের চারগুণ গুলি চালাবার নিদান দেওয়ার পর ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েই ছিল।” চাইছেন মমতার হস্তক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে এপিডিআর বলছে, “নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সন্দেহের অবসান করা দরকার। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিন, এটাই আমাদের দাবি।” খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলছেন, “পুলিশকে গুলি করেছে তাই পুলিশ এনকাউন্টার করেছে। এই তৎপরতা যদি সব ক্ষেত্রে দেখা যায় তাহলেই চা প্রশাসনের পক্ষে ভাল।” ইতিমধ্যেই আবার এই ইস্যু সাংবাদিক বৈঠক করে ফেলেছে পুলিশ। এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলছেন, “ডিআইজি রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি সুধীর নীলকান্তমের নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় সাজ্জাককে। কিন্তু তখন সে গুলি। পাল্টা প্রতিরোধ করতে গুলি চালায় পুলিশও।”