কলকাতা: রবিবারের পর ফের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ দল। একজনের মৃত্যু, চারজনের সঙ্কটজনক অবস্থার জন্য দায়ী কে? কারণ খুঁজতে সোমবার ফের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। তবে চিকিৎসকদের গাফিলতি নিয়েও সন্ধিহান স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের বক্তব্য, বুধবার রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের ঘটনাক্রমে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। একই সংস্থার রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন স্ত্রীরোগ ছাড়া অন্য ওয়ার্ডেও ব্যবহার হয়েছে। অন্য দিনও বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহার হয়েছে।
তাহলে শুধু বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্ত্রীরোগ বিভাগে কেন বিপর্যয় ঘটল? এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে আগ্রহী স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। উল্টোদিকে রোগিণীদের উপসর্গ বলছে অন্য কথা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতিতে শিরা কেটে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারেন চিকিৎসকরাও।
তাহলে প্রশ্ন, পাঁচজনের উপসর্গ কী ভাবে এক হতে পারে? সকলেরই অস্বাভাবিক ভাবে রক্তচাপ কমে গিয়েছিল। জ্বর দিয়ে কাঁপুনির সঙ্গে রক্তচাপ কমতে থাকে। ইউরিন আউটপুট কমতে কমতে একসময় শূন্য হয়ে যায়। কিডনি বিকলে ইউরিয়া-ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। প্লেটলেট কমে, আরবিসি ভাঙতে শুরু করে।
এ ধরনের উপসর্গ ওষুধের গণ্ডগোল ছাড়া সম্ভব নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অপর একাংশের। রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে যান ১৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখেন। সোমবার এসএসকেএম-এ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। বৈঠকের নির্যাস, প্রসূতি মৃত্য়ুর পিছনে যে একমাত্র স্যালাইনই রয়েছে, তা মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা ড্রাগ টেস্টের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই রিপোর্ট এলেই, তাঁরা নিশ্চিত হবে কীভাবে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।