কলকাতা: বিষ স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়ে হইচই চলছে। তবে জানেন দশ বছর আগেও ঘটেছিল একই ঘটনা? সেই সময় বিষ স্যালাইন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ উদয়ন মিত্র। তাঁর দাবি ছিল, মেদিনীপুরের মতো বছর দশেক আগে ঠিক একই অবস্থা হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেরও। প্রসূতি মৃত্যুতে সরকারের সরবরাহ করা স্যালাইনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েই স্বাস্থ্য ভবনের কোপে পড়েন তিনি।
উদয়নবাবুর অভিযোগ, হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে চিকিৎসকের বক্তব্য ছিল,সরকারের সরবরাহ আরএলের ব্যবহারে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাইরে থেকে আরএল কিনলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। ই চিঠির জেরেই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রতিবাদী চিকিৎসককে শোকজ করে স্বাস্থ্য ভবন বলে দাবি চিকিৎসকের।
বিতর্কিত আরএল নিয়ে মুখ খোলায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লেবার রুমের প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ করে স্বাস্থ্য ভবনের। শেষ পর্যন্ত চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। ২০১৪ সাল থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরএল সরবরাহের বরাত পায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল। চিকিৎসকের দাবি,এই আরএল নিয়ে মুখ খোলার জন্যই তাঁকে শাস্তি পেতে হয়। আলিপুরদুয়ারেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে মেদিনীপুরে।
উদয়ন মিত্র বলেন, “২০১৫ সালে আমি সিজার করেছিলাম। সেই সময় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। সিজারের পর প্রসূতিদের প্রেশার ফল করে। ব্লিডিং হচ্ছিল। তারপর বিবেচনা করে দেখলাম আরএল দেওয়ার পরই সমস্যা বাড়ছে। তারপর নোট দিলাম। সেই সময় বাইরে থেকে ওষুধ কিনল। তখন দেখা গেল সমস্যা কমল। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানাই। তারপর পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য ভবন শোকজ করে। বলা হয় আপনি এইসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। আপনি লেবাররুমের প্রোটোকল ভাঙছেন।”
কলকাতা: বিষ স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়ে হইচই চলছে। তবে জানেন দশ বছর আগেও ঘটেছিল একই ঘটনা? সেই সময় বিষ স্যালাইন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ উদয়ন মিত্র। তাঁর দাবি ছিল, মেদিনীপুরের মতো বছর দশেক আগে ঠিক একই অবস্থা হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেরও। প্রসূতি মৃত্যুতে সরকারের সরবরাহ করা স্যালাইনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েই স্বাস্থ্য ভবনের কোপে পড়েন তিনি।
উদয়নবাবুর অভিযোগ, হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে চিকিৎসকের বক্তব্য ছিল,সরকারের সরবরাহ আরএলের ব্যবহারে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বাইরে থেকে আরএল কিনলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। ই চিঠির জেরেই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রতিবাদী চিকিৎসককে শোকজ করে স্বাস্থ্য ভবন বলে দাবি চিকিৎসকের।
বিতর্কিত আরএল নিয়ে মুখ খোলায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লেবার রুমের প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ করে স্বাস্থ্য ভবনের। শেষ পর্যন্ত চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। ২০১৪ সাল থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরএল সরবরাহের বরাত পায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল। চিকিৎসকের দাবি,এই আরএল নিয়ে মুখ খোলার জন্যই তাঁকে শাস্তি পেতে হয়। আলিপুরদুয়ারেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে মেদিনীপুরে।
উদয়ন মিত্র বলেন, “২০১৫ সালে আমি সিজার করেছিলাম। সেই সময় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। সিজারের পর প্রসূতিদের প্রেশার ফল করে। ব্লিডিং হচ্ছিল। তারপর বিবেচনা করে দেখলাম আরএল দেওয়ার পরই সমস্যা বাড়ছে। তারপর নোট দিলাম। সেই সময় বাইরে থেকে ওষুধ কিনল। তখন দেখা গেল সমস্যা কমল। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানাই। তারপর পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য ভবন শোকজ করে। বলা হয় আপনি এইসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। আপনি লেবাররুমের প্রোটোকল ভাঙছেন।”