কলকাতা: পুজোর মরশুম মানেই বাঙালির (Durga Puja Tour Planning) পায়ে সর্ষে। অফিস-কাছারিতেও লম্বা ছুটি। স্কুল-কলেজেও ছুটি। সপরিবারে কোথাও ঘুরতে যেতে হলে, বাঙালির কাছে এর থেকে ভাল সময় আর হয় না। পুজোর মরশুমে প্রচুর বাঙালি পর্যটক এদিকে-ওদিকে ঘুরতে চলে যান। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে পুজো স্পেশাল ট্রেনও দিতে হয় রেলকে। এবারও দেখতে দেখতে পুজো এগিয়ে এল। বাকি আর চার মাস। অক্টোবরের ২০ তারিখ ষষ্ঠী। পুজোর ছুটি কোথায় কাটাবেন, সেই প্ল্যানিংও করে ফেলেছেন অনেকে। চারমাস আগে থেকে তো টিকিটও কাটতে হবে। পুজোর মরশুমে পর্যটকদের টিকিট কাটার হিড়িক, সামাল দেওয়ার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত রেলও। সংরক্ষিত টিকিটের কাউন্টারগুলি অতিরিক্ত সময় খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের টিকিট কাটার ধুম সামলানোর জন্য রবিবারও খোলা রাখা হবে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাউন্টার। অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য ২২ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত টানা একমাস এই বাড়তি সুবিধা দেবে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখা। এই সময়ের মধ্যে ৩৪টি জায়গায় সংরক্ষিত আসনের টিকিট বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে। এই এক মাস সময়ের মধ্যে চারটি রবিবার – ২৫ জুন, ২ জুলাই, ৯ জুলাই এবং ১৬ জুলাই রবিবার সকালের শিফটে এই কাউন্টারগুলি খোলা থাকবে।
সংরক্ষিত আসনের টিকিট বুকিং কাউন্টার সব স্টেশনে থাকে না। সাধারণত যেগুলি তুলনামূলক বড় স্টেশন, অর্থাৎ যেখানে যাত্রীদের আনাগোনা বেশি থাকে, সেই সব স্টেশনগুলিতে সংরক্ষিত আসনের টিকিট বুকিং কাউন্টার থাকে। যে স্টেশনগুলিতে রবিবার সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটা যাবে সেগুলি হল – শিয়ালদহ, বিধাননগর রোড, কলকাতা টার্মিনাল, দমদম জংশন, সোদপুর, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, কাঁকিনাড়া, নৈহাটি জংশন, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর জংশন, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ডহারবার, মাঝেরহাট, টালিগঞ্জ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি, বারাসত জংশন, হাবরা, ঠাকুরনগর, বনগাঁ জংশন, বসিরহাট, হাসনাবাদ, বেথুয়াডহরি, দেবগ্রাম, বেলডাঙা, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ ও লালগোলা।