দীক্ষা ভুইয়া
কলকাতা: প্রতি বছরের মতো এবারও কড়া নিরাপত্তার মুড়ে ফেলা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের রেড রোড। লালবাজারের তরফে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে থাকবে ২ হাজার পুলিশ কর্মী। মঙ্গলবার ১৫ অগস্ট। তার আগে ১২ অগস্ট শনিবার থেকেই নাকা চেকিং শুরু হয়ে গিয়েছ। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গেস্ট হাউজে চেকিং করবে কলকাতা পুলিশ। থাকছে কিউআরটি টিমও। ৪টি স্যান্ড ব্যাগ মোর্চা, স্যান্ড ব্যাগ বাঙ্কার থাকছে ১১টি।
বিভিন্ন জায়গায় ৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসবে। পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকবে ৬টি। রেড রোড ১৩টি জ়োনে ভাগ করা হবে। তার মধ্যে ৮৬টি সেক্টর থাকবে। ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন ১৭ জন। এছাড়াও ট্রাফিকের জন্য আরও ২জন। থাকছেন ৪৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৯০ জন ইনস্পেক্টর। ১৪ তারিখ রাত ১০টা থেকে বন্ধ থাকবে ধর্মতলার ডাউন র্যাম্প।
রেড রোড, কেপি রোড, হসপিটাল রোড, মেয়ো রোড, ডাফরিন রোড, আউট্রাম রোড-সহ একাধিক পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে এদিন। বিকল্প হিসাবে রেড রোডের অনুষ্ঠান চলাকালীন জহরলাল নেহরু রোড ও স্ট্র্যান্ডর রোড দিয়ে যাতায়াত করবে গাড়ি।
২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের ছ’জন আইপিএস অফিসারকে পুরস্কার দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুরস্কারকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস এবং চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর কমেন্ডেবল সার্ভিস। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস পাচ্ছেন একজন। তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওয়েস্টার্ন জোনের এডিজি এবং আইজিপি শ্রী ত্রিপুরারি অথর্ব।
চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল পাবেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে আছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশসুপার ওয়াই রাজবংশী, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ।